|
---|
সেখ সামসুদ্দি: কলেজ ছাত্রেরা লকডাউনে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সামান্য ইনকাম থেকে দু:স্থদের খাদ্যসামগ্রী বিলি করে মহানুভবতার পরিচয় রাখল। সুরজ ঘোষ পল্লীমঙ্গল সমিতির হ্যান্ড স্যানেটাইজার ইউনিটের একজন স্টাফ, দিন গেলে মেরে কেটে ইনকাম ৩০০ টাকা। নিজের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। গত তিন সপ্তাহ ধরে কাজ করছে ঐ ইউনিটে। গত পরশু বেতন হয় প্রথম ২ সপ্তাহের কাজের বেতন পাওয়ার সাথে সাথে সেখান থেকে ২০টি ফ্যামিলির জন্য চাল, ডাল, মুড়ি, সোয়াবিন, মাস্ক ও সাবান কিনে তা তুলে দিল চাঁচাই মহেশপুর এলাকার ২০টি দু:স্থ ফ্যামিলির হাতে। সুরজের এই কাজ প্রশংসার দাবী রাখে, একই সঙ্গে হাসি ফোটালো ২০টি পরিবারের মুখে। পল্লিমঙ্গল সমিতিও তার এই কাজে সবরকম সাহায্য করে। সমিতির সদস্য সৌরভ ঘোষের ব্যবস্থাপনাতেই এই বিলির ব্যবস্থা করা হয়। উল্লেখ্য গত ৫ জানুয়ারি স্থানীয় মামুদপুরের বাসিন্দা রাজ কলেজের বি এ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কৃষক পরিবারের ছেলে সকাল সাতটা নাগাদ পাল্লা স্টেশন থেকে হাওড়াগামী মাঝের ডাউন লাইনে বড়সড় ফাটল দেখে দ্রুততার সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার ফলে সে যাত্রায় বড় কোন অঘটন থেকে বাঁচিয়েছিল। ঐ লাইনে আসা লোকাল ট্রেনটিকে হাত নেড়ে, জামাখুলে নাড়িয়ে চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ট্রেনটিকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়। দেখা গিয়েছিল ডাঊন দ্বিতীয় লাইনে ক্রশিংয়ের মুখে লাইনের ফিসপ্লেট জয়েন্টের জায়গায় লাইনের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে আছে। পাশে আর একটি লাইনে কংক্রিটের স্লিপারেও ভাঙন ধরেছিল। রেলযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সুরজকে সেদিন বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছিল। আবার সেই সুরজ আরও একবার মানবিকতার পরিচয় রাখল।