গুজব ছড়ালে প্রশাসনিক ব্যবস্থা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গুজব ছড়ালে প্রশাসনিক ব্যবস্থা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    নতুন গতি: দোকান বাজার সমস্ত খোলা থাকবে। বাজার বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে ‘রিভিউ’ বৈঠকে স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন পুলিশ কর্তাদের বলেন বাজারের উপর কড়া নজর রাখতে। যাতে কেউ কোনও পণ্য কালোবাজারি করতে না পারেন। তিনি বলেন, ‘‘ জেলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে বাজার বন্ধ হয়ে যাবে। কেউ কেউ মজুত করার চেষ্টা করছেন। এ ধরনের গুজব ছড়ালে এবং মজুত করার চেষ্টা হলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত জিনিস পত্র রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

    এ দিন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ দিনের বৈঠকে বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘ এই সময় ব্যবসা করার নয়। এখন সহযোগিতার সময়।” ওই বৈঠকে তিনি বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানান।

    ১। কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় আইসোলেশন বেড বাড়ানো হবে যেখানে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে বর্তমানে ২২ টি বেড রয়েছে। তা বাড়িয়ে ১০০ করা হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাইট শেল্টার বিল্ডিংয়ে ৫০ টি আইসোলেশন বেড। এম আর বাঙুর হাসপাতালের নতুন ভবনে ১৫০ টি বেড।  রাজারহাটের কোয়েরান্টিন সেন্টারের একটি অংশে ৫০০ টি বেড তৈরির বন্দোবস্ত করা।

    আরও পড়ুন: করোনার চতুর্থ বলি দেশে, জার্মানি-ইটালি ফেরত বৃদ্ধের মৃত্যু পঞ্জাবে​
    ৩। যে সমস্ত চিকিৎসকরা বিদেশে গিয়েছেন তাঁদের অবিলম্বে হোম আইসোলেশন বা কোয়েরান্টিনে থাকতে হবে
    ৪। ৩০০ টি ভেন্টিলেটরের বরাত দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৭০ টি পৌঁছে গিয়েছে। বাকি গুলো আরও ২০ দিনের মধ্যে চলে আসবে। বেসরকারি হাসপাতাল এবং প্যাথোলজিকাল ল্যাবগুলিকে অনুরোধ করেন ভেন্টিলেটর কিনতে।
    আরও পড়ুন: ভারতে মৃত্যু বেড়ে ৪, মৃত্যু মেক্সিকো-রাশিয়াতেও: করোনা আপডেট একনজরে
    ৫। প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালকে ১০০ টি করে  পার্সোনাল  প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট এবং মাস্ক দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে
    ৬। মাস্ক, প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট সহ সরঞ্জাম দ্রুত জেলা হাসপাতালগুলিকে পাঠাতে হবে
    ৭।  এখনও বেসরকারি ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে গেলে কী কী করতে হবে তার গাইডলাইন এখনও কেন্দ্র দেয়নি। সেই নির্দেশিকা পেলেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে আমরা জানাব। সেই অনুসারে বেসরকারি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিরা একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করুন। নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন কি কি করতে হবে।
    এ দিনের বৈঠকে কলকাতার সবক’টি বড় বেসরকারি হাসপাতালের এবং বড় প্যাথোলজিকাল ল্যাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ছিলেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের প্রতিনিধিরা এবং স্বাস্থ্য কর্তারা।