হাওড়া জেলার বাঁকড়ায় সিপিআইএম এর রক্তদান শিবিরে ভাঙচুর, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘ সময়ের শাসক বামফ্রন্ট সরকার কে পরাজিত করে আজ থেকে ১০ বছর আগে সরকার গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতা দখল কর পর আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যায় শতাধিক বামফ্রন্টের পার্টি অফিস। ঠিক তেমনই দীর্ঘ সাত বছর থেকে বন্ধ পরে ছিল হাওড়া জেলার বাঁকড়ায় একটি পার্টি অফিস। ৭ বছর পর দিন পনেরো আগে সেই পার্টি অফিস কে খুলতে পেরেছিল সিপিএম। শনিবার বাঁকড়া কবর পাড়া এলাকার ওই পার্টি অফিসেই সিপিএমের ডোমজুড় পূর্ব এরিয়া কমিটির উদ্যোগে রক্তদান শিবির করেছিল সিপিআইএম । সিপিআইএম এর তরফে অভিযোগ – করোনা আবহে চারিদিকে যখন রক্ত সংকট তীব্র তখন সেখানেও হামলা করেছে তৃণমূল। যদিও সিপিআইএম এর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল।

    গত কালকের এই ঘটনায় বিরাট উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকড়ায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। দুপুর একটা নাগাদ সিপিএমের রক্তদান শিবিরে ভাঙচুর হয়। সিপিআইএম এর অভিযোগ তৃণমূলের ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্যদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়।

    শিক্ষক দিবস উপলক্ষে জেলার ২০টি জায়গায় এদিন রক্তদান শিবির করার পরিকল্পনা করেছিল জেলা সিপিএম। যার মধ্যে কবরপাড়া পার্টি অফিসে রক্তদান শিবির হচ্ছিল।
    সিপিআইএম এর অভিযোগ, লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় সিপিআইএম কর্মীদের। ভাঙচুর করা হয় অফিসের জানলা, দরজা, টেবিল, চেয়ার। ছোড়া হয় ইটপাটকেলও। এরপর বন্ধ হয়ে যায় রক্তদান কর্মসূচি।
    সিপিএম হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার জানান – তৃণমূলের হুমকি উপেক্ষা করে সকাল থেকে প্রায় তিরিশ জন রক্ত দেন। দুপুরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় তৃণমূল।

    হিংসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডোমজুর থানা ও বাঁকড়ায় তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ। ওই এলাকা থেকে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জমায়েত। সিপিএম নেতৃত্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে গতরাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের তরফে জানানো হয় গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সিপিআইএম এর অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মেহের আলি বলেন, রক্তদান শিবির থেকে মাইকে এমনসব মন্তব্য করা হচ্ছিল তাতে এলাকার মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।