পঁচিশতম বর্ষপূর্তিতে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হরিশ্চন্দ্রপরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

হরিশ্চন্দ্রপুর,মহ: নাজিম আক্তার,২৩ জানুয়ারি: উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হল রজত জয়ন্তী উৎসব। বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসিহাটা জিপির একটি বেসরকারি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘বিদ্যাসাগর শিশু উদ্যান’এর রজত জয়ন্তী উৎসব পালিত হলো। অর্থাৎ ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ২২ ও ২৩ শে জানুয়ারি দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা।প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ব্রত গাঙ্গুলি সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও আগত অতিথীগণ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস,রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভাইস-চেয়ারম্যান তজমুল হোসেন, তুলসিহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোজ রাম, তুলসিহাটা চক্রের এস আই মহম্মদ মহসিন, হরিশ্চন্দ্রপুর দমকল কর্মী সহ স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা।
প্রধান শিক্ষক জয়ব্রত গাঙ্গুলি জানান, নেতাজির ১২৩ তম জন্ম জয়ন্তী ও স্কুলের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা। খুদে শিশুদের সাংস্কৃতিক মনস্ক করে তোলার উদ্দেশ্যেই বিশেষ করে এই অনুষ্ঠান। ডিজিটাল যুগে ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল গেমের নেশাই আসক্ত হয়ে পড়েছে।দেশনায়ক ও বিপ্লবীদের কথা তারা ভাবার সময় পাইনা। তাই খুদে পড়ুয়াদের দেশনায়কের আদর্শে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আর পাঁচটা বেসরকারি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বিদ্যাসাগর শিশু উদ্যান স্কুলটিকে শিক্ষক,ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, প্রাক্তন ছাত্রবৃন্দ এবং প্রাক্তন শিক্ষমণ্ডলী সকলেই স্কুলটিকে ভালবেসে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তাঁর আশা।
২৫ বছর বয়স্ক স্কুলটিকে নিজের সন্তানের মতোই মনে করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক জয়ব্রত গাঙ্গুলি। অভিভাবকদের সামনে পেয়ে বলেন,’একটু দেখবেন, তিল তিল করে সকলে মিলে গড়ে তুলেছি এই স্কুলকে। একটু প্রচার পেলে উপকার হয়।’
স্কুলের শিক্ষিকা আয়েশা খাতুন ও অনামিকা রামরা জানান, অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় কবিতা আবৃতি, ছড়া পাঠ ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় নাটক, নৃত্য, কমেডি ক্লাস, গান, কুইজ ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ।
আয়েশা খাতুন আরো জানান,সে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলটিতে শিক্ষকতা করে আসছে।এবং তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুল পরিচালক কমিটি ও সহকর্মীরা নিরন্তর পরিশ্রম করে আজ স্কুলটিকে এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। বর্তমানে এল কেজি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।এই স্কুল থেকে অনেক কৃতি ছাত্রছাত্রীরা সমাজে নিজেদের অবদান রেখেছে। তাঁরা আরো বড় মাপের মানুষ হোক বলে আশীর্বাদ দেন।
দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠানের সবশেষে, প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী সহ কৃতি ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়‌। দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন জগন্নাথ মন্ডল