তামিলনাড়ু ও পুদুচেরতে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় নিভার, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির দিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় নিভার। বুধবার সন্ধে নাগাদ মমল্লপুরম ও কারাইকলে আছড়ে পড়তে পারে এই সাইক্লোন। এমনই পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। ভয়াবহ দুর্যোগে দুই রাজ্যের প্রশাসনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    চলতি বছর একের পর এক বিপদের মুখে পড়ছে গোটা দেশ। একে করোনা মহামারী, ভ্যাক্সিনের অপেক্ষা দেশবাসী। এহেন পরিস্থিতিতে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো এবার ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিভার। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, দক্ষিণের এই দুই রাজ্যে ১০০ থেকে ১১০ কিমি বেগে নিভার আছড়ে পড়তে পারে।মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান পুদুচেরি থেকে ৪১০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং চেন্নাই থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নিম্নচাপটি ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর হাওয়ার গতিবেগ ঘন্টায় ৫৫-৬৫ কিমি। যত সেটি স্থলভাগের দিকে এগোবে, ততই তা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বুধবার বিকেলের দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে মমাল্লাপুরম ও কারাইকলের মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। চেন্নাইয়ের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’-এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে ভিলুপুরম, কাড্ডালোর, পুদুচেরি এবং চেন্নাইয়ে। হাওয়া অফিসের এই সংকেত বার্তা পাওয়ার পর সতর্ক দুই রাজ্যের প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।উদ্ধার কাজের জন্য এনডিআরএফ এর ৩০টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পলানিস্বামীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

     

    এদিকে সোমবার থেকেই দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় রাজ্যগুলিতে শুরু হয়েছে বূষ্টি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। মঙ্গলবার রাত ন’টা থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পুদুচেরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ফলে সেখানকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দুধ, পেট্রল পাম্পের মতো জরুরি পরিষেবা মিলবে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তামিলনাড়ুতে এ দিন থেকেই আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে ঘরের বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই সময় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। তাই ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলে, রায়লসীমা ও তেলেঙ্গানাতে বুধ ও বূহস্পতিবার বূষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।