|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে বিষমদের বলি হয়েছেন ২২ জন। শনিবার সকালেই ৫ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া যায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, আরও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আগামী দিনে বাড়তে পারে সংখ্যাটা।
ইতিমধ্যেই বিষমদ বিক্রির অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করেছে আলিগড় পুলিশ। একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। ঘটনার পরই সাসপেন্ড করা হয়েছে জেলার আবগারি আধিকারিককে। যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কেবল বেআইনি মদ খেয়ে সবার মৃত্যু হয়নি। এর সঙ্গে অন্য কিছু বিষয় জড়িত থাকতে পারে। সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর বিষয়ে ডিভিশনাল কমিশনার গৌরব দয়াল জানান, আলিগড়ের তিনটি পুলিশ স্টেশন চত্বরের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। যাতে ইতিমধ্যেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ পাবলিক রিলেশন কৃষ্ণ কুমার সিং জানান, বেআইনি মদ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অনিল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই একই মামলায় আরও ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেআইনি মদ বিক্রির ঘটনায় এখনও ২ জনকে খুঁজছে পুলিশ। তাদের নামে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার জন্য জেলা আবগারি আধিকারিক ধীরজ শর্মা, আবগারি ইন্সপেক্টর রাজেশ যাদব, কনস্টেবল অশোক কুমার, ইন্সপেক্টর চন্দ্রপ্রকাশ যাদব ও আরও এক কনস্টেবল রামরাজ রানাকে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে আলিগড়ের গ্রামে এই দেশি মদ খাওয়ার ঘটনা ঘটে। শুক্রবারই বিষ মদে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে আরও ৫ জনের মৃত্যু হলে সংখ্যাটা ২২-এ পৌঁছায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলিগড়ের লোধা , খয়ার ও জওয়ান ব্লকের বহু মানুষ বৃহস্পতিবার দোকান থেকে দেশি মদ কেনেন। রাতেই সেই মদ খেয়ে বমি করতে শুরু করেন অনেকেই। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই আলিগড়ের বহু দেশি মদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ”যে দোকান থেকে ওই বিষমদ পাওয়া গিয়েছে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দায়ের হবে। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে সরকার। সেই টাকায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”