|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গা পুজো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কালীপূজা- দীপাবলির কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে যায়। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে কালী পুজো বা শ্যামা পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই মুহূর্তে চলছে কালী পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শ্যামা মায়ের আরাধনায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, তাই তার চেষ্টা চলছে জোড়কদমে মহাদেব সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে উন্মাদের বেসে যাবার সময়ে বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে তা খন্ড দিখন্ড করেন। মহাদেব সতির বিরহে এমনি অবস্থায় ছিলেন তিনি তা বুঝতে পারেননি। যে সমস্ত স্থানগুলিতে সতীর দেহাবশেষ পড়েছিল তা শরীরের অঙ্গের নামানুসারে সেই মন্দিরের নামকরণ হয়েছে এবং সেখানে কালী মন্দির গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন শক্তি পীঠ বা সতী পীঠ তো বটেই, সেই সঙ্গে অন্যান্য কালী মন্দির, ক্লাব, এমনকী বাড়িতেও শ্যামা পুজো করেন অনেকে নিষ্ঠা মনে। বাংলায় কালী পুজোকে দীপাবলিও বলা হয়ে থাকে। প্রদীপ, মোম সহ রকমারি আলোর রোশনাইতে শহরের অলিগলির অন্ধকার ঘুচে যায় দীপাবলিতে।
পঞ্জিকা মতে কালীপুজো পড়েছে ৪ নভেম্বর। ২০২১ সালে বৃহস্পতিবার পড়েছে দীপান্বিতা অমাবস্যা। ফলে বহু বাড়িতে নিষ্ঠার সঙ্গে মা কালীর আরাধনা হয়। উল্লেখ্য, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষে যে অমাবস্যা তিথি রয়েছে, তাতে এই বিশেষ কালীপুজো পালন করা হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা কুলতলির জালাবেড়িয়া নস্কর বাড়ির পূজা,কয়ালের মোড় রামকৃষ্ণ যুব সংঘের পূজা,পালের চক শান্তি সংঘের কালি পূজা উলেখযোগ্য । ছবি পালের চক শান্তি সংঘের কালি পূজা মন্ডপ ।