শ্রীরামপুরে দোল-দুর্গোত্সব ২১৭ বছর আগে শ্রীরামপুরের দে বাড়িতে দোলের দিন দুর্গাপুজোর সূচনা হয়

নিজস্ব সংবাদদাতা : শ্রীরামপুরে দোল-দুর্গোত্সব। ২১৭ বছর আগে শ্রীরামপুরের (serampore) দে বাড়িতে দোলের দিন দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। পরে পারিবারিক পুজো বারোয়ারির রূপ নেয়। বর্তমানে পুজোর উদ্যোক্তা শ্রীরামপুর পঞ্চাননতলা টাউন ক্লাব। চারদিনের দুর্গাপুজোয় এখানে মহিষমর্দিনীর সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীর পরিবর্তে থাকেন দুই সখী জয়া-বিজয়া।এবার ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে যুদ্ধ নয় শান্তি চাই পোস্টার নিয়ে প্রভাতফেরিতে যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শান্তির দূত হিসেবে ওড়ানো হয় সাদা পায়রা।

    দিগন্তে পলাশের রং। সঙ্গে রবি ঠাকুরের সুর…বসন্ত জাগ্রত দ্বারে৷ আজ রঙের উত্সব। আবিরে-রঙে বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার পালা। নাচে-গানে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। বসন্তোত্সব উপলক্ষে দিনভর নানা জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। চলছে রং খেলা, আবির মাখিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়৷ রঙের উত্সবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য। জেলায় জেলায় দোলের উত্সব পালনের ছবি। মহিষাদল প্রেস কর্নারের উদ্যোগে মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে বসন্তোত্সবের আয়োজন করা হয়। এবার ১৩ বছরে পা দিল এই উত্সব। প্রভাতফেরির মাধ্যমে এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৩টি সাংস্কৃতিক দল এই বসন্তোত্সবে যোগ দিয়েছে। একসঙ্গে হোলির দহন আবার ন্যাড়াপোড়া। মুদিয়ালি ক্লাবে গভীর রাতে বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষ উৎসবে মেতে উঠলেন। সূচনা হল মুদিয়ালি ক্লাবের দোল উৎসবের। যেখানে রাত জেগে বাঙালিরা অংশ নিলেন নেড়াপোড়ায় আর অবাঙালিরা ‘হলিকা দহন’ উদযাপন করলেন। অগ্নি শিখার মধ্যে অশুভ শক্তির বিনাশ আর শুভ শক্তির আহ্বান করলেন মুদিয়ালির বাসিন্দারা। এদিকে, আবিরে রাঙা শান্তিনিকেতন। বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে বসন্তোত্সব। উপাসনা গৃহ থেকে আশ্রম চত্বরে প্রভাতফেরি। রঙের উত্সবে মাতোয়ারা সবাই। দোল উপলক্ষে শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের ভিড়। আশ্রম চত্বরে বাইরেও চলছে রং খেলা।