|
---|
মহঃ নাজিম আক্তার ভবানীপুর, মালদা ২০ই জুলাই। মালদায় জেলায় রক্তসংকট দূর করতে এবার এগিয়ে এল ভারতের যুব ফেডারেশন অর্থাৎ ডিওয়াইএফআই।১৮জুলাই হরিশ্চন্দ্রপুর উত্তর ও মধ্য লোকাল কমিটির উদ্যোগে ভবানীপুর ব্রিজ, চিলড্রেন্স একাডেমী নার্সারি স্কুলে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির ও পথ সভা আয়োজন করেন । ।এদিনের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর উত্তর ও মধ্য লোকাল কমিটির সম্পাদক কমঃমহঃ হারেজ ও কমঃ ফাইয়াজ আলম, সভাপতি কমঃ আবু আলা মদদি ও কমঃ সন্তোষ দাস ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সভাপতি কমঃ মিনাক্ষী মুখার্জি ।
রক্তদান শিবিরের অন্যতম আয়োজক তথা সিপিআইএম নেতা মালেক জানান , এদিনের রক্তদান শিবিরে স্বেচ্ছায় ৬১ জন রক্তদান করেন।সমস্ত রক্তদাতাকে সবুজায়নের জন্য একটি করে চারাগাছ দেওয়া হয়।
অপর দিকে সিপিআইএম কর্মী তথা ডাক্তার প্রবীণ মানুষের রক্তদান নিয়ে ভুল ধারণা গুলি সকলকে জানান, বিভিন্ন কারণে, বিভিন্ন চিকিৎসায় বা অস্ত্রোপচারে রক্তের দরকার হয়, আর তখনই খোঁজ পড়ে বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক এবং ব্লাড ডোনারের। অনেক সময়েই রক্তের ঘাটতি পড়লে রোগীর মৃত্যুও হতে দেখা যায়, এ কারণে রক্তদানের ব্যাপারটা মোটেও হেলাফেলার নয়। আগের চাইতে এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে ব্লাড ডোনার খুঁজে পাওয়াটা। এর পরেও কিছু ভুল ধারণা এবং কুসংস্কার রয়ে গেছে মানুষের মনে
চলুন জেনে নিই তিনি কী বলেন-
“সুস্থ এবং প্রাপ্তবয়স্ক যে কেউই চাইলে রক্ত দিতে পারে। তবে জ্বরের মতো অ্যাকিউট কন্ডিশনে আমরা রক্ত দিতে মানা করি। এছাড়াও মাদকসেবী এবং বিভিন্ন ক্রনিক রোগীর ক্ষেত্রেও রক্ত নেওয়া যায় না। গর্ভবতী মায়ের শরীরে এমনিতেই রক্ত কমে যায় তাই তার রক্ত দান করা উচিৎ নয়।“ এছাড়াও তিনি জানান, কম বয়সীদের ও কম ওজনের (আন্ডারওয়েট) মানুষের রক্ত দানে অনুৎসাহী করা হয় কারণ তাদের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হলে তারা একটু দুর্বল অনুভব করতে পারে।
রক্ত দান নিয়ে অনেকেরই যে ভুল ধারণাগুলো আছে, সেগুলো এবং এর প্রেক্ষিতে সত্যিটি জানান ডঃ প্রবীণ
ভুল ধারণা ১# রক্ত দিলে আমাদের রক্ত কমে যাবে!
একজন মানুষের শরীর থেকে যে পরিমাণ রক্ত নেওয়া হয় সেটা তার শরীরের মোট রক্তের মাত্র ৮-১২ শতাংশ। মানুষটি সুস্থ হলে তার শরীরে এত কম পরিমাণ কোনই প্রভাব ফেলে না। কয়েক সপ্তাহের মাঝেই শরীর আবার এই রক্তের অভাব পূরণ করে ফেলে।
ভুল ধারণা ২# রক্ত দিলে ব্যথা লাগে
একেবারেই ভুল ধারণা। অল্প একটু পিঁপড়ার কামড়ের মতো ব্যথা লাগবে সূঁচ ঢোকানোর সময়ে। এ ছাড়া আর কোনো রকমের ব্যথার সম্ভাবনা নেই রক্ত দান করার ক্ষেত্রে।
ভুল ধারণা ৩# অনেক মানুষ রক্ত দেয়, আমি না দিলেও কিছু যায় আসে না
অনেকেই ইদানিং রক্ত দিতে ইচ্ছুক হলেও প্রয়োজনের সময়ে হয়তো তাদেরকে পাওয়া নাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার দেওয়া রক্ত একজন মানুষের জীবন বা মৃত্যুর নির্ধারক হয়ে ওঠে। সুতরাং অনেকেই রক্ত দেয় বলে আপনি এড়িয়ে যাবেন না।
ভুল ধারণা ৪# ধূমপায়ীরা রক্ত দিতে পারেন না
রক্ত প্রয়োজন হলে ধূমপায়ীরাও রক্ত দান করতে পারেন।
ভুল ধারণা ৫# রক্ত দান করার সাথে সাথে কিছু খেতে হয়
অনেকেই ভাবেন এটা। রক্ত দান করার পর অনেককেই কোমল পানীয় বা মিষ্টি কিছু খেতে দেওয়া হয়। আসলে এতে তেমন কিছু যায় আসে না। তবে মানসিকভাবে কেউ কেউ দুর্বল হয়ে পড়েন, তাদের ক্ষেত্রে কিছু খাবার খাওয়ানোটা মনোবল বাড়াতে পারে।
বিভিন্ন ভুল ধারণার কারণে অনেকেই রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এখন তো জানলেন, তেমন কোনো অসুস্থতা না থাকলে রক্ত দান করতেই পারেন আপনি। নিশ্চিত হয়ে নেবার জন্য আপনি নিজের ডাক্তারের সাথেও কথা বলে নিতে পারেন যে রক্ত দান করার মতো সুস্থতা আপনার আছে কী নেই। কিন্তু রক্ত দান করার সামর্থ্য থাকলে তা করুন, তা কারো জীবন বাঁচাতে পারে।