|
---|
মঞ্জুর মোল্লা, নতুন গতি নদীয়া;নদীয়ার নাকাশিপাড়া আবারও মানবতার এক অনন্য নজির ধর্মকেই গুরুত্ব দিলেনএক মুসলিম যুবক পবিত্র ঈদের নমাজ শেষ করেই এক প্রতিবেশীর মৃতদেহ সৎকার করতে ছুটলেন নবদ্বীপ মহাশ্মশানের দিকে। মানবতার ধর্ম পালন সেইসঙ্গে গড়লেন সম্প্রীতির আরও এক নজির। ঈদের দিনে নমাজ পড়ার পরে সবাই বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। হয়তো আমারও তাই করা উচিত ছিল। কিন্তু কী করব, আমাদের এলাকার পরিমলবাবু মঙ্গলবার রাতে মারা গেলেন। উনি খুব ভাল মানুষ ছিলেন। বহুদিন ধরে একই এলাকায় একসঙ্গে থেকেছি। ঈদ তো আবার আসবে সামনের বছর। কিন্তু বহুদিনের পরিচিত পরিমলবাবু তো আর ফিরে আসবেন না। তাই তার শেষযাত্রায় যোগ দিতে মন চাইছিল। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াব, এ আর এমন কী। আমাদের ধর্মেও তো তাই বলা আছে।’ খুশির ইদের দিনে পরিবারের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে প্রতিবেশীর শ্মশানযাত্রায় যোগ দিয়ে মানবতার ধর্মের সার্থক রূপ দিলেন সার্থক সেখ বয়স ৩০ পেশায় ভ্যান চালক বাড়ি নদীয়ার বেথুয়াডহরি মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক।পরিমল ঘোষ (৫৮) বাড়ি বেথুয়াডহরি বুধবার হাটতলা এলাকার বাসিন্দা শ্বাসকষ্টের কারণে মঙ্গলবার রাতে শক্তিনগর হাসপাতলে মৃত্যু হয়।পরিমল বাবুর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এলাকার মুসলিম সম্প্রদায় মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষ করেই পরিমল বাবুর বাড়িতে গিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানাই তারপরে সৎকারের জন্য নবদ্বীপ শ্মশানেরর দিকে মানবতার ধর্ম পালন জন্য।