|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যে যশবন্থ সিংয়ের প্রয়ানে রবিবার সকাল থেকেই শোকের ছায়া গেরুয়া শিবিরে। ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুতে টুইবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কিন্তু কেমন ছিল যশবন্থ সিংয়ের রাজনৈতিক জীবন? আসুন আজ সেই বিষয়েই খানিক আলোকপাত করা যাক।
১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের বাড়মের জেলার জসোল গ্রামে জন্ম যশবন্তের। মেয়ো কলেজ থেকে পড়াশোনার পাঠ শেষ করে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন যশবন্ত। পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে যোগ দেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। ভারতীয় সেনা বাহিনীর ‘মেজর’ পদেও দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে রাজনীতিতে ষাটের দশকের শেষ দিকে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন ভারতীয় সেনার এই উচ্ছপদস্থ পদাধিকারী। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যেও অন্যতম নাম ছিল যশবন্তের। অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশের মতো দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলাতে দেখা যায় যশবন্তকে। এদিকে মৃত্যুকালে যশবন্তের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
এদিকে আশির দশকেই প্রথম রাজ্যসভায় পা রাখেন বিজেপির এই বরিষ্ঠ নেতা। তারপর টানা ৩৪ বছর সংসদের সদস্য ছিলেন যশবন্ত। ১৯৮০ সালের পর থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিতও হয়েছিলেন তিনি। চারবার লোকসভার সাংসদ হিসাবে দেখ যায় তাকে। শেষবার ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাকে বাংলার দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করতে দেখা যায়।২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজপেয়ী সরকারের পরাজিত হওার পর রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার জায়গাও পান যশবন্ত। শুরু থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্যতম পরিচিত মুখ হিসাবে যশবন্তের নাম উঠে আসলেও একাধিকবার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তাতেও হাঁটতে দেখা যায় তাকে। তাঁর একটি বইয়ে তিনি পাকিস্তানের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার প্রশংসাও করেন। তার দাবি ভারত ভাগের জন্য কোনও ভাবেই জিন্না দায়ী নন। ওই কথার পর তীব্র বিতর্কের মাঝেই তাকে দল থেকে বের করা হয় ২০০৯ সালেই। পরে প্রত্যাবর্তনও ঘটে। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির টিকিট না পেয়ে বাড়মের কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হন তিনি। তখনও বিজেপির রোষের মুকে পড়ে বহিষ্কৃত হন এই বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ।