|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: হাতে সময় এক মাস। এই এক মাসের মধ্যে দিতে হবে চাকরির নিয়োগপত্র। না হলে জঙ্গি শিবিরে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন কেএলও জঙ্গি এবং লিঙ্কম্যানেরা।
নাশকতার ছেড়ে আলোয় ফেরার আহবান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাশকতা ছেড়ে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরেন জঙ্গি সংগঠন কেএলও-র আটশোর বেশি সদস্য এবং লিঙ্কম্যান। হোম গার্ড পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন তাঁরা। ইতিমধ্যে প্রায় চারশো জনের চাকরিও হয়ে গিয়েছে।
অভিযোগ, কাগজপত্র বা অন্যান্য কিছু সমস্যার জন্য এখনও চারশোর বেশি চাকরি হয়নি। এই বিষয়ে তাঁরা বেশ কয়েকবার পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। অবিলম্বে চাকরির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরেও জলপাইগুড়ি পুলিস সুপারের দফতরে স্মারকলিপি দিতে আসেন জলপাইগুড়ি জেলার প্রাক্তন কেএলও সদস্য এবং লিঙ্ক ম্যানরা। পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা না হওয়ায়, তাঁরা ডেপুটি পুলিস সুপার সাইমন তামাংয়ের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেন। পুলিস আধিকারিকের সঙ্গে বেশ সময় ধরে কথাও বলেন।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা সাফ জানান, দীর্ঘদিন টালবাহানার শিকার হচ্ছেন। এক মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়া না হলে পুনরায় জঙ্গি শিবিরে ফিরে যাবেন। জ্যোৎস্না রায়, বিধূভূষন রায় নামে প্রাক্তন কেএলও সদস্য বলেন, “আমাদের প্রায় ৪০০ জনের চাকরি হয়েছে। কিন্তু এখনও ৪৪২ জনের বেশি লোকের চাকরি বাকি রয়েছে। আমরা ভোটের আগের থেকে ঘুরছি। আমরা আজ স্মারকলিপি দিয়ে সাফ জানিয়ে গেলাম, যদি এক মাসের মধ্যে চাকরি না হয়, তবে ফের আমরা জঙ্গি শিবিরে ফিরে যাব।” এই বিষয়ে ডেপুটি পুলিস সুপার সাইমন তামাং জানান, কাগজপত্রের সমস্যা মিটে গেলে বাকিদেরও চাকরি হবে।