ভোটের হার মানতে না-পেরে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি: মনে করছেন সমাজ বিশেষঞ্জরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সিউড়ী: ভোট পরবর্তী হিংসা বিষয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তা নিছকই রাজনীতি, পশ্চিমবঙ্গ আছে পশ্চিমবঙ্গেই। এটা নিয়ে নিছকই রাজনীতি করছে বিজেপি এমনই মনে করছেন সমাজ বিশেষঞ্জরা। বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোটে শাষকদল তৃনমূলের ব্যাপক জয়জয়াকার হওয়া ও বিজেপির গো-হারা হেরে যাবার পর তা সহ্য করতে না পেরে এসব নিয়ে নিছকই রাজনীতির বাজার গরম করতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সিউড়ী শহরের বাসিন্দা প্রাক্তন কাউন্সিলার সমাজকর্মী মহম্মদ ইয়াসিন আক্তার বলেন, বিজেপি ভেবেছিলো ওরা সরকারে আসবে। ভোটে হেরে গিয়ে সেই জনগনের রায় মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাই এসব করে প্রচারে রাখতে চাইছে। বৃহৎ রাজ্যে দু একটা বিচ্ছিন্ন বা ছোট ঘটনা ঘটেছে তা কড়া হাতে দমন করেছে পুলিশ প্রশাসন। যতটা গর্জন হচ্ছে এসব নিয়ে ততটা হয় নি রাজ্যে। প্রাক্তন সেনা আধিকারিক মহম্মদ আলি আবার বলেন, ভোটের আগে বিজেপি নেতারা যে সব উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলেছিলেন সেগুলো মনে আছে? প্রতিটি ভিডিও ক্লিপিংস যদি এক এক করে দেখা হয় তাহলে বোঝা যাবে হিংসা আর হিংসার উস্কানীমূলক কথাবার্তা যারা বলেছিলেন সেগুলো ভুলে গেলে চলবে না। আসলে বিজেপিকে মানুষ ব্যাপক ভাবে প্রত্যাখান করেছে সেটা তারা মানতে পারছে না। তাই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে গল্প সাজাচ্ছে। বলিয়ে কয়িয়ে মানুষকে “নির্যাতনের শিকার” বলে সামনে আনছে। আবার বাংলাকে ভাগ করার কথা বলছেন বিজেপির সাংসদরা। বিজেপির ভোটে হেরে গিয়ে এই ভাবে রাজনীতি করার জন্য তাদের মানুষ আরো ছুড়ে ফেলবে বলে মন্তব্য করলেন রামপুরহাটের বাসিন্দা আব্দুর রেকিব। তিনি বলেন, ভোটে হেরে গেছে। বুথ থেকে রাজ্য স্তরের সাধারন বিজেপি সমর্থক থেকে নেতারা দল ছেড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন তা মানতে পারছে না। তাই বিভিন্ন কমিশন টমিশন ধরে অস্তীত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে। মানুষ এসব মেনে নেবে না।