|
---|
আজিম শেখ,নতুন গতি : কয়েকদিন আগেই একটি মামলায় আদালত থেকে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আবার বড়োসড় অস্বস্তি মুখে পড়লেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং বর্তমান বঙ্গ বিজেপি চাণক্য নামে পরিচিত মুকুল রায়। জানা যাচ্ছে, রিলিফ স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য দফায় দফায় 40 লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মুকুলবাবুর নামে। অভিযোগ দায়ের করেছেন সরসুনা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা সন্তু গাঙ্গুলী।
স্থানীয় থানায় তার নামে এফআইআর করা হয়। অভিযোগকারীর বক্তব্য, দক্ষিণ কলকাতার প্রভাবশালী বিজেপি নেতা বাবান ঘোষের হাতে সেই টাকা তুলে দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই সরশুনা থানার পুলিশ গত মঙ্গলবার রাত্রি তিনটার সময় ঘুম থেকে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করে শকুন্তলা পার্কের বাসিন্দা বাবান ঘোষকে সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ চলার পর সকাল ন’টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাবান ঘোষ বিজেপির জনতা মজুর ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি। সম্প্রতি টলিউডের দিকে নজর দিয়েছে বাংলার গেরুয়া শিবির। সেদিকে কাজ চালিয়ে অনেকটাই সফলতা পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অনেক কলাকুশলীরা তৃণমূল শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।
খবর পাওয়া যাচ্ছে টলিউডের চালু হওয়া বিজেপি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে কাজ করতেন অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। কিন্তু গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মনে করছেন বাংলার গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কলকাতা পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় মমতাকে হাত ধরে টেনে তুলেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।
যদিও পুলিশের দাবি, মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বাবান ঘোষ জেরার মুখে তার উপরে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। সন্তু গাঙ্গুলীর দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বাবান ঘোষ এবং বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, যখন একের পর এক তৃণমূলের নেতাকে তলব পাঠাচ্ছেন, তখন পাল্টা হিসেবে কি বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের নয়া কৌশল কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যেভাবে প্রকাশ্যে এসেছে, তা সারা ভারতবর্ষে নজিরবিহীন।
তাই এখন ঘুষ প্রতারণা, আর্থিক কেলেঙ্কারি ইত্যাদি নিয়ে সরকারের যে কোন পদক্ষেপ কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত বলেই মনে হয়। আর তাতে যদি তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাদের নাম থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। সব কিছু না পেয়ে এখন মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে যদি প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ে, তবে সেটাই হবে বড় পাওয়া বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।