পরিযায়ী পাখি দেখতে এসেছিলেন পাঁচ পর্যটক ছাড়িগঙ্গায় ভ্রমণের সময় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন দুই পর্যটক

নিজস্ব সংবাদদাতা : ছাড়ি গঙ্গায় নৌকাডুবি। মাঝি-সহ নৌকোটিতে ছিলেন পাঁচ জন। বেসামাল হয়ে নৌকোটি উলটে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাঝি-সহ তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও দুই পর্যটক এখনও নিখোঁজ। তাঁদের হদিশ পেতে আলো জ্বেলে রাতভর তল্লাশি চলে।

    জানা গিয়েছে, পরিযায়ী পাখি দেখতে এসেছিলেন ওই পাঁচ পর্যটক। ছাড়িগঙ্গায় ভ্রমণের সময় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন দুই পর্যটক। যদিও ওই নৌকায় থাকা মাঝি-সহ তিন জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া দুই পর্যটক হলেন তন্ময় সিং শর্মা, তন্ময় মাঝি ও নৌকার মাঝি মদন পারুই। এর মধ্যে মদন পারুইকে পূর্বস্থলী ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুলিশের উদ্যোগে হ্যালোজেন লাইট লাগিয়ে নদীতে নেমে তল্লাশি শুরু হয়। নিখোঁজ দুই জনের নাম সৌরভ ভট্টাচার্য ও সৈকত চট্টোপাধ্যায়। পর্যটকরা নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা।জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল নাগাদ ওই চার পর্যটক পরিয়ায়ী পাখি দেখতে চুপিতে আসেন। কাষ্ঠশালী ঘাট থেকে স্থানীয় মাঝি মদন পারুইয়ের নৌকায় চেপেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, নৌকায় উঠে ৪ জনই মদ্যপান শুরু করেন। পরে ওই নৌকায় দাঁড়িয়ে নাচানাচিও শুরু করে দেন তাঁরা। নৌকা কুলতলির ঘাটের কাছে আসতেই সেটি টালমাটাল হয়ে একদিকে কাত হয়ে ডুবে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসতেই তাঁরা এগিয়ে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। নৌকার মাঝিকে উদ্ধার করে পূর্বস্থলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি ২ জনকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।এমনিতে শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে চুপিতে। গরম পড়ার পর পর তারা আবার ফিরে যায়। আবার পাকাপাকিভাবে থেকে যায় কিছু পাখি। তাদের টানে বা শান্ত প্রকৃতির হাতছানিতে চুপিতে সারা বছরই কমবেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। কিন্তু বর্ষায় পর্যটক থাকে একেবারেই কম। তার মধ্যেই নদিয়ার এই পর্যটকরা এসে চরম বিপদের সম্মুখীন হলেন।