আসামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে ২৫ লক্ষ মানুষের জনজীবন ব্যাহত

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক:এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র তেজপুর, গোয়ালপারা, নেমাতিঘাটে। এছাড়াও ধুবড়ি, ধানশিড়ি, জিয়া, ভারালি, কোপিলি, বেকি ও কুশিয়ারা নদীও বহু জায়গায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে অতি বর্ষণের ফলে।অসমে এখনও পর্যন্ত বন্যায় মৃত ১০২। রবিবার জলে ডুবে আরও পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছেন বরপেটা ও কোকরাঝাড়ে দুইজন করে ও একজন মরিগাঁওয়ে মারা গিয়েছেন।

    এছাড়াও মে মাস থেকে ভারী বৃষ্টিতে ধসে ২৬জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যায় প্রভাবিত রাজ্যের ৩৩টি জেলার ২৩টি জেলা। এখনও বন্যায় আটকে আছেন ২৫ লক্ষ মানুষ ২২৬৫ গ্রামে। এর মধ্যে শুধু গোয়ালপারাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪.৭০ লক্ষ মানুষ। বরপেতায় ৩.৯৫ লক্ষ মানুষ ও মরিগাঁওয়ে ৩.৩৩ লক্ষ মানুষ বন্যায় আটকে পড়েছেন।

    কাজিরঙ্গা  জাতীয় পার্ক ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রায় ৮৫ শতাংশ জলে নিমজ্জিত। এখনও পর্যন্ত ১২৯টি পশু মারা গিয়েছে শেষ কয়েক মাসে। এর মধ্যে আছে ১৪টি রাইনো। এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র তেজপুর, গোয়ালপারা, নেমাতিঘাটে। এছাড়াও ধুবড়ি, ধানশিড়ি, জিয়া, ভারালি, কোপিলি, বেকি ও কুশিয়ারা নদীও বহু জায়গায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে অতি বর্ষণের ফলে।