|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: নারদকাণ্ডে ধৃত ৪ হেভিওয়েটের জামিন মামলায় নতুন জটিলতা ধরা পড়ল। এদিন জামিন মঞ্জুর সংক্রান্ত নির্দেশ নিয়ে দুই বিচারপতির মতভেদ ধরা পড়ে। জামিন মঞ্জুর করার পক্ষে ছিলেন বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। জামিন মঞ্জুরের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।
দুই বিচারপতি এরপর জানান, অন্তর্বর্তী মামলা নতুন বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হতে পারে। তৃতীয় বিচারপতির কাছে পাঠানো হতে পারে। ততদিন জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও ৪ জনকেই থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়। নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়। চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সুবিধা তাঁরা পাবেন। পরিবর্তে, মামলায় তাঁদের সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে।
নামলার শুনানি এখনও চলছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় জন্য ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলেন হেভিওয়েটদের আইনজীবী। এরপর, ফের শুনানি-পর্ব পুনরায় শুর হয়।
সেখানে অন্তর্বর্তী জামিনের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন হেভিওয়েটদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বিশেষ করে ফিরহাদ হাকিমের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
আদালতে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘পুরসভায় না যেতে পারলে ফিরহাদ হাকিম কী করে লড়বেন? কোভিডের বিরুদ্ধে কী করে লড়বেন ফিরহাদ হাকিম? পুরসভায় না গেলে কী করে হবে লড়াই? ফিরহাদ সই করতে না পারলে কী করে হবে লড়াই?’
এই যুক্তি দেখিয়ে সিঙ্ঘভি আবেদন করেন, ‘গৃহবন্দি নয়, অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হোক।’ অন্যদিকে, মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি চাইলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে শনি-রবিবার শুনানির আর্জি করেন কল্যাণ। সিঙ্ঘভি আবেদন করেন, ‘যত দ্রুত, সম্ভব হলে আজকেই নতুন বেঞ্চ গঠন হোক।’