প্রেমের টানে সুদূর প্যারিস থেকে পান্ডুয়া ছুটে এলেন ফরাসি যুবতী প্র্যাট্রিসিয়া ব্যারোটা

নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রেমের কোনও ভাষা নেই, প্রেমের কোনও সীমা নেই। মাস চারেক আগে নেটমাধ্যমে পরিচয়। সেই থেকে প্রেম। সেই প্রেমের টানে সুদূর প্যারিস থেকে পান্ডুয়া ছুটে এলেন ফরাসি যুবতী প্র্যাট্রিসিয়া ব্যারোটা। ভাষাগত সমস্যা থাকলেও মনের মিলন দুজনকে এক করেছে। শুরু হয়েছে পান্ডুয়ায় বিয়ের তোড়জোড়। কর্মসূত্রে পান্ডুয়ার বাসিন্দা কুন্তল ভট্টাচার্য থাকতেন দিল্লিতে। লকডাউনে তিনি ফিরে আসেন নিজের বাড়ি পান্ডুয়ায় সারদাপল্লিতে।

    দিল্লিতে থাকাকালীন সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁর পরিচয় হয় প্র্যাট্রিসিয়ার সঙ্গে। ধীরে ধীরে কথা বার্তা বাড়তে থাকে। শুরু হয় ভিডিও কলিংও । দিন দশেক আগে কুন্তলকে সারপ্রাইজ দিতে প্র্যাট্রিসিয়া এসে পৌঁছন ভারতে। নয়া দিল্লিতে এসে কুন্তলকে ফোন করে জানান তিনি তারপর সেখান থেকে কলকাতা বিমান বন্দরে আসেন। খবর পাওয়া মাত্রই কুন্তল রওনা দেন কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। অবশেষে এই যুগলের মিলন হয়। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট তাদের দুজনকে এক করেছে তাদের ভালোবাসাকে পরিণতি দিয়েছে এখন অপেক্ষা চার হাত এক হওয়ার।এই বিষয়ে কুন্তল জানান, প্রথম দিকে ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে পেট্রিশিয়ার ভাষা বুঝতেন কুন্তল। ইন্টারন্যাশনাল সাইটে প্রথম পরিচয়। সেই থেকেই চলতে থাকে ভিডিও কলিং থেকে চ্যাটিং। ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়। প্রথমে ভাষা বুঝতে সমস্যা হলেও গুগল ট্রান্সলেটর এর সাহায্যে প্রেমিকা কি বলছেন টা বুঝতেন তিনি। কুন্তল আরও বলেন, বাংলা ভাষা একদমই জানেন না প্র্যাট্রিসিয়া। কুন্তলের পান্ডুয়ার বাড়িতে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ভাষাগত সমস্যার কারণে একটু অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তবে মনের টানে সবই সম্ভব।কুন্তল মনে করেন, তাদের এই প্রেম দুটো দেশের সম্পর্ককে আরও ভালো করবে। আর এটার প্রয়োজন রয়েছে। শেষে কুন্তল বলেন, তাদের কাহিনীটা লাভ এট ফার্স্ট সাইট। কুন্তলের পরিবারের লোকজন জানান, বিদেশিনী বৌমা পেয়ে তারাও বেজায় খুশি। একটু মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে তবে তারা আশাবাদী আগামীতে তাও ঠিক হয়ে যাবে। পরিবার-পরিজন থেকে পাড়া-প্রতিবেশী সবাই এখন অপেক্ষায় দুজনের বিয়ের।