সূর্যাপুর গ্রামের ফুলহার নদীর ভাঙ্গন।


নতুন গতি নিউজ ডেস্ক, মালদা, ২২ জুলাই।  আশঙ্কাই সত্যি হলো,  ফুলহা নদীর দাপটে ভেঙে গেল রতুয়া ১ ব্লকের কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের সূর্যাপুর বাঁধের অর্ধেকেরও বেশি অংশ। সোমবার ভোর থেকে ওই এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে তলিয়ে গিয়েছে কয়েক একর আমবাগান এবং জমি। ফুলহার নদীর ভাঙ্গন শুরু হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে।

    সোমবার সকালে ভাঙ্গন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু । যদিও তিনি সেচ দপ্তরের  উদাসীনতাকে এই ভাঙ্গনের জন্য দায়ী করেছেন। সাংসদ বলেন, যা কাজ হয়েছে তা কেবল নামমাত্র । এ ব্যাপারে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু এটা সেচ দপ্তরের দায়িত্ব। এই অবস্থায় যাতে ভাঙ্গন ঠেকানোর কাজ করা যায় সে ব্যাপারে কথা বলা হবে সেচ দপ্তরের সঙ্গে।

    রতুয়া ১ ব্লকের কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের সূর্যাপুর এলাকায় ফুলহার নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত। সোমবার ভোরে বাঁধের অর্ধেকেরও বেশি অংশই ফুলহার নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে  সূর্যাপুর ও দেবীপুর গ্রামের  মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। নদীর জল বাড়লেই এলাকায় জল ঢুকে যাবে বলেই আশঙ্কা করছে গ্রামবাসীরা।সেই জল গোটা রতুয়া ব্লককে প্লাবিত করতেে পারে হলেও আশংকা স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর।

    সূর্যাপুর গ্রামের বাসিন্দা রহমত শেখ, সুব্রত সিংহ নিতাই মন্ডলদের বক্তব্য,  ভাঙ্গনের সমস্যা নতুন নয়। গত কয়েক দশক ধরেই এই এলাকার মানুষ ফুলহার নদীর গর্ভে তলিয়ে যেতে দেখেছে বহু জমি-বাগান-বাড়ি । কয়েক দিন আগেই ফাটল দেখা দিয়েছিল। সোমবার ভোরে সূর্যাপুর এলাকার ফুলহার নদীর বাঁধের কোনও অংশে ভাঙ্গন হয়েছে জল  বাড়লে দেবীপুর,কাহাল , বাহারাল সহ একাধিক প্লাবিত হবে।

    মালদা শেষ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণব কুমার সামন্ত জানিয়েছেন,  বাঁধে ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা পরিদর্শন করার ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠানো হয়েছে। বালির বস্তা সহ নানান উপায় ভাঙ্গন ঠেকানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।