চরম পর্যায়ের নৃশংসতা! গোমাংস খাওয়ার অপরাধে মুসলিম যুবককে পুড়িয়ে মারল গোরক্ষক বাহিনী

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: গোমাংস খাওয়ার অপরাধে মুসলিম যুবককে মারধোর দিয়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারা হয় বিহারে। জানা যায় মৃত মুসলিম যুবক জেডিইউর সক্রিয় কর্মী, মহম্মদ খলিল আলম।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মহম্মদ মাটিতে হাতজোড় করে বসে রয়েছেন। আর তাঁকে ঘিরে রয়েছে বহু স্বঘোষিত গোরক্ষক। আর অনবরত মহম্মদকে চড়-থাপ্পর মারছে গোরক্ষকরা। প্রশ্ন করা হচ্ছে, মুরগি-খাসি থাকা সত্ত্বেও কেন গোমাংস খেলেন তিনি? একা তিনি খেয়েছেন, নাকি ছেলেপুলে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও গোমাংস খাইয়েছেন, জানতে চাইছে চড়াও হওয়া যুবকেরা। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বারবার কান মুলছেন মহম্মদ। বলছেন, “এবার ছেড়ে দিন। ভুল হয়ে গিয়েছে। আর কোনওদিন খাবেন না।”

    গত শুক্রবার বুড়ি গণ্ডক নদীর তীরে মহম্মদের দেহ উদ্ধার হয়। কেউ কেউ দাবি করেছেন. তাকে মেরে পুঁতে দিয়ে গিয়েছে গোরক্ষকেরা। আবার কেউ কেউ বলছেন, মারধর করে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।

    পরিবার সূত্রে খবর, ১৬ তারিক থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মহম্মদ। থানায় জানিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তার পর থেকেই পরিবারের কাছে একাধিক ফোন এসেছিল। তাতে জানা যায়, মহম্মদ কারোর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। টাকা ফেরত না দিলে মহম্মদের কিডনি কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হচ্ছিল। এর পর নদীর তীর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।

    খবরটি টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জন্য এনডিএ জোটকে দুষেছেন বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব।