গলসির লোয়া সন্তোষপুুর গ্রাম এখনও পুরুষ শুন্য, মৃতের ক্ষৌরকর্ম জন্য নাপিত ও পুরোহিত অমিল

আজিজুর রহমান, গলসি : পূর্ব বর্ধমানের গলসির লোয়া সন্তোষপুুর গ্রাম এখনও পুরুষ শুন্য, মৃতের ক্ষৌরকর্ম জন্য নাপিত ও পুরোহিত অমিল বলে জানান মৃতের স্ত্রী সাধনা ঘোষ ও তার পরিবারের লোকেরা। তিনি এখন সব হারিয়ে বড় অসহায় হয়ে আছেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, গত বছর করোনা সময় এক দিনে হারিয়েছিলাম নিজের বাবা তারাপদ চক্রবর্তী ও দাদু গুরুপদ চক্রবর্তীকে। এবার আমার স্বামী উৎপল ঘোষকে হারালাম। আমি মনোজের অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্য আজ আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল। এদিকে বাড়িতে তার ছয় বছরের ছেলে অরিন ঘোষ আর বয়স্ক শ্বশুর শ্বাশুড়ি। আজ তাদের পরিবারের ক্ষৌরকাজ কিন্তু পুরোহিত নাপিত কেউই আসতে চাইছেনা গ্রামে। এতেই সমস্যায় পরেছেন তারা। তবে অবশেষে পুলিশ জানতে পেরে সেই সমস্যার সমাধান করেন। এমনকি তাদের বাড়িতে কাজ করাও লোকজন পাওয়া দুস্কর হয়ে পরেছে। শোকার্ত মন নিয়েই নিজেদের কাজ নিজেদের করতে হচ্ছে। মৃতার স্ত্রী ও কাকার দাবী, দোষীরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের সাজার ব্যাবস্থা করুক। উল্লেখ্য গত রবিবার রাতে উৎপল ঘোষ খুন হওয়ার পর সোমবার তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরলে ঘটনায় অভিযুক্ত মনোজ ঘোষ ও তার কাকাদের বাড়ি ও গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়। তখন থেকেই পুরুষ শুন্য রয়েছে গ্রাম। গ্রামে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। মৃতের কাকা রামচন্দ্র ঘোষ জানান, উৎপল পুকুর থেকে মোবাইলে কথা বলতে বলতে আসচ্ছিল। বাড়ির কাছেই পুকুর পাড়ে একটি তাল গাছের আড়ালে কুড়ুল হাতে লুকিয়ে ছিল মনোজ। কাছে আসতেই উৎপলের কানের পাশে গলার কাছে কুড়ুল দিয়ে কোপা মারলে মাটিতে পড়ে যায় উৎপল। তারপরই তার মাথায় কুড়ুল বসিয়ে পালিয়ে যায় মনোজ। এদিকে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়  খাঁ খাঁ করছে গোটা গ্রাম। রাস্তায় জনপ্রানী দেখা নেই। কবে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই আশায় তাকিয়ে রয়েছে গ্রামের মানুষরা।