হরিশ্চন্দ্রপুর,৪ মার্চ,মহ: নাজিম আক্তার:
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন৷ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আচমকা ডাউনে সমস্যা বেড়েছে অনেকেরই৷ বিশেষত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন ঘোরতর বিপাকে পড়েছেন৷ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির ভবানীপুর গ্রামে সেই সব অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক তথা তৃনমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য আনোয়ার কবির৷
শনিবার কবিরবাবুর উদ্যোগে এলাকার যুবকদের নিয়ে ভবানীপুর গ্রামে গৃহবন্দি দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চাল,আলু ও সোয়াবিনের প্যাকেট৷
এদিন কবিরবাবুর সঙ্গে এই কর্মসূচিতে ছিলেন তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারি শিক্ষক মাজেদ আলম, ব্যবসায়ী মোজাম্মেল সাবির ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি আব্দুস সালাম, সামিম আক্তার ও দিলদার হোসেন সহ অন্যান্যরা।
কবির জানান প্রাথমিকভাবে প্রায় একশোটি বাড়িতে চার কিলো করে চাল,দুই কিলো করে আলু ও একটি করে সোয়াবিনের প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানান।সামাজিক দূরত্ব ও সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই চাল ও আলু প্যাকিং ও বন্টন করা হয়।
তিনি আরো জানান লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে আগামী দিনে দুঃস্থ মানুষদের পাশে আবারো দাঁড়াবেন বলে জানান। কবিরবাবুর এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষজন।
মাজেদ আলম জানান করোণা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কোমর বেঁধে কাজ করছে রাজ্য সরকার৷ জারি করা লকডাউন মেনে চলার জন্য পথে নেমে সাধারণ মানুষকে আবেদন জানাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা৷ প্রশাসনিক স্তরেও টিভি চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্কতামূলক প্রচার চলছে৷
লকডাউন চলাকালীন সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন রোজকার ভিত্তিতে কাজ করা মানুষজন৷ বন্ধ সমস্ত রকম গণপরিবহণ মাধ্যম৷ বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি একাধিক অফিস, স্কুল, কলেজ৷ শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে৷
দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি তাদের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘোরতর সমস্যায় পড়েছেন৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুঃস্থ এই মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছে প্রশাসন৷ একাধিক বেসরকারি সংস্থাও এগিয়ে এসেছে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে৷