|
---|
নাজমুস, মালদা: একদিকে করোনার থাবা অন্যদিকে মাত্র আধঘন্টার শিলাবৃষ্টিতে কোটিকোটি টাকার ফসল নষ্ট। মাথায় হাত চাষীদের। সব থেকে বেশী নষ্ট হয়েছে পাঁকা ধান ও পাট। জানা যায় সোমবার রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড় ও মঙ্গলবার ভোরে আধঘন্টার শীলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় পাট ও ধান। পাঁকা ধান মাঠে ঝরে যায় ও পাট গাছের ডোগা ভেঙে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। সাতসকালে মাঠে ক্ষতির পরিমাণ দেখে কেঁদে ফেলেন চাষিরা। এই করোনা মহামারিতে কি খেয়ে বেঁচে থাকবে চাষিরা তা দুশ্চিন্তায় পড়েছে কপালে চিন্তার ভাঁজ।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির দক্ষিণ রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সামিম জানান এবছর ধারদেনা করে ও সুদে ঋণ নিয়ে তিনবিঘা পাট চাষ করেছিলেন। ইতিমধ্যে সার ও নিড়ানীতে যথেষ্ট টাকা খরচ হয়ে গেছে। পাট বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পাট তুলার আগেই সব শেষ। কিভাবে পরিশোধ করবে ঋণ তা চিন্তায় উড়েছে ঘুম।
অপরদিকে ওই গ্রামের এক মহিলা ভাগচাষি সাইনাস বিবি জানান ঋণ করে একবিঘা ধান ও এক বিঘা পাট চাষ করেছিলেন। পাট বিক্রি করে পরিশোধ করার কথা। এখন কিভাবে পরিশোধ করবে ও সারাবছর কিভাবে পরিবার চলবে তা দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
যদি সরকার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে শস্য বিমা দিয়ে সাহায্য করে তবে তাঁরা ঋণ থেকে মুক্তি পাবে।