হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় বর্ধমানে প্রথম হওয়ায় হাফেজ উমর ফারুককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন জানান

লু তুব আলি : হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় রাজ্যে সপ্তম ও বর্ধমানে প্রথম হওয়ায় হাফেজ উমর ফারুককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন জানান। ২০২২ সালে বর্ধমান হাই মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়ে রাজ্যে সপ্তম ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রথম স্থান দখল করল বর্ধমান হাই মাদ্রাসার কৃতি ছাত্র হাফেজ উমর ফারুক। উমর ফারুক সাফল্য পাওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সোমবার হাই মাদ্রাসার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার অব্যবহিত পর বর্ধমান হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নওশাদ আলী ও বর্ধমান ১নং ব্লকের জয়েণ্ট বি ডি ও এবং জনসংযোগ আধিকারিক উমরের বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা ও পুষ্পস্তবক দিয়ে তাকে সম্বর্ধিত করেন।বাবা সৈয়দ আব্দুল্লাহ। ৮০০ নাম্বারের মধ্যে উমরের  নাম্বার ৭৬৭ উল্লেখ্য,উমর খণ্ডঘোষ এর বরিশালে হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণীর পড়া শেষ করে হাফেজ হন। বাবা মৌলানা আসাদ  হোসেন বাড়ি শালী হাই স্কুলের আরবিক এর শিক্ষক। উমর বর্ধমান হাই মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এখান থেকেই তিনি এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। আসাদ হোসেন সাহেবের দাদার ছেলে মোহাম্মদ তালহা ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় হন। উমরের দাদা সৈয়দ মোহাম্মদ জুবের বর্ধমান মিউনিসিপাল বয়েজ স্কুল থেকে এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। উমরের মা সৈয়দ আসমা সুলতানা গৃহবধূ। উমরের কৃতিত্বের পিছনে তার মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে তিনি স্বীকার করেন।উমর ফারুক বলেন উচ্চমাধ্যমিকে পিওর সাইন্স নিয়ে পড়বেন। ভবিষ্যতে কার ডাক্তারি হওয়ার ইচ্ছা। বর্ধমান হাই মাদ্রাসা থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিলেন দিনমজুর ঘরের মেয়ে নাফিসা মিসবা। প্রাপ্ত নাম্বার ৫০৪ নাফিসার বাবা শেখ মাহতাব উদ্দিন জানান , মেয়ের ফলাফল ভালো না হওয়ায় তিনি রিভিউ করাবেন। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তায় লিখেছেন, এই সাফল্যে তোমার অভিভাবক শিক্ষক শিক্ষিকা ও শুভানুধ্যায়ীদের অবদান ও অনেক। আমি তাঁদের ও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। ভাল করে লেখাপড়া করে জীবনে অনেক বড় হও, মানুষের মত মানুষ হও এ কথা জানবে, আমি সবসময়ই তোমাদের পাশে আছি।