|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- কথায় বলে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর জেদের জোরে অসাধ্য সাধন করল পরীক্ষার্থী। অস্ত্রপচারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা দিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। হাসপাতালের বেডে বসেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল সে। গত ১৩ এপ্রিল তার এপেন্ডিক্স অপারেশন হয় ওই ছাত্রীর৷ অসুস্থ অবস্থায় ইতিহাস পরীক্ষা দিল রিমি সাহা।বীরভূমের নানুরের টি কে এম বিদ্যালয়ের ছাত্র রিমি সাহা। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। দুটো বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার পর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। শুরু হয় পেটে ব্যথা। পেটে যন্ত্রণা নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে তাকে সিয়ানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। ১৩ এপ্রিল তার এপেন্ডিক্স অপারেশন হয়৷ কিছুটা সুস্থ হওয়ায় এদিন চিকিৎসক তথাগত ঘোষ ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেয়৷ হাসপাতালেই তাকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়৷1প্রশাসনের লোকজন থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষও এই বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা করে বলে জানায় ছাত্রীর পরিবার। বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বলেন, ওই ছাত্রীর এপেন্ডিক্স হয়েছিল, চিকিৎসকরা পরামর্শ দেয় অপারেশন করার । অপারেশনের পর প্রস্তুতি ছিল না পরীক্ষা দেওয়ার। শেষ মুহূর্তে জানায় পরীক্ষা দেবে। তারপরই তড়িঘড়ি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালের তরফে চিকিৎসক শ্যামল রক্ষিত বলেন, “অপারেশনের পরে জানতে পারি রিমি সাহা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাই আমরা চাইছিলাম ওই ছাত্রী দ্রুত সুস্থ হয়ে পরীক্ষা দিক। সেই মতো আমরা সমস্ত রকম ব্যবস্থা করি।”উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক তাপস সাহার জানান, “দুটো পরীক্ষা স্কুলেই দিয়েছে। তারপর হঠাৎই পেটের যন্ত্রণা হয় সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসকরা অপারেশন করার পরামর্শ দেন। অপারেশন করানোর পর প্রশাসনের সহযোগিতায় পরীক্ষা দিতে পারল। আমরা খুবই খুশি।