|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘এন.এস.এস শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, লিডারশিপ শেখায়।’ হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে এন.এস.এসের সাত দিনের স্পেশাল ক্যাম্পের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. শেখ কামাল উদ্দীন। প্রসঙ্গত গত ২১শে মার্চ সরকারি অর্থানুকূল্যে ও হিঙ্গলগঞ্জ কলেজের এন.এস.এস ইউনিটের পক্ষে এই ক্যাম্পের সূচনা করেন কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. শামীম ভড়। সাতদিনের এই ক্যাম্পে একাধিক সচেতনতামূলক কর্মশালার পাশাপাশি অধিগৃহীত গ্ৰাম বাঁকড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শেষ দিন তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কলেজের অধ্যক্ষসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুণ আল রশিদ, কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান করণিক প্রশান্ত চক্রবর্তী, অধ্যাপক সুমন তামাং ও প্রোগ্ৰাম অফিসার মোঃ গোলাম মার্তুজা। অনলাইনে ব্যাঙ্ক প্রতারণা ও তার থেকে সচেতন থাকার সহজ কতকগুলি উপায় নিয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্স বিভাগের প্রধান ও এন.
এস.এস সেলের কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক (ড.) প্রণাম ধর। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভারতের বিশিষ্ট দশ ব্যক্তিত্বের নামে দশটি গ্ৰুপে ভাগ করে এই ক্যাম্প পরিচালিত হয় বলে জানান অধ্যাপক মার্তুজা। প্রতিটি গ্ৰুপে একজন করে অধিনায়ক করা হয়। গ্ৰুপগুলির নামকরণ করা হয় এ.পি.জে. আব্দুল কালাম গ্ৰুপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্ৰুপ, মহাত্মা গান্ধী গ্ৰুপ, কাজী নজরুল ইসলাম গ্ৰুপ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র গ্রুপ, স্বামী বিবেকানন্দ গ্রুপ, সরোজিনী নাইডু গ্ৰুপ, মাতঙ্গিনী হাজরা গ্রুপ, ইন্দিরা গান্ধী গ্ৰুপ ও সুকুমার রায় গ্ৰুপ। এক একটি গ্ৰুপগুলির অধিয়াকত্বে ছিলেন যথাক্রমে কৌশিক বিশ্বাস, অন্তরা মণ্ডল, মহুয়া খাতুন, জি.এম. সাইন আফ্রিদি, সুস্মিতা ভট্টাচার্য, দেবাশীষ মণ্ডল, পিয়ালি মাইতি, রাজু বাজ, মালিহা মুমতাজ ও সঞ্জিত হালদার। সাতদিনের ক্যাম্পের বিভিন্ন দিনে উপস্থিত থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের উৎসাহ দেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী নির্দেশক পিয়ালি দাস, স্যান্ডেলারবিলের রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী সমরপনানন্দ মহারাজসহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন তামাং, নীলাদ্রি শেখর সিংহ, আলাউদ্দিন শেখ, নৃত্য শিক্ষক সুরজ বৈদ্য প্রমুখ। শেষ দিন পৌলমী চক্রবর্তীর প্রশিক্ষণে স্বেচ্ছাসেবকরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। শেষ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্ণব চক্রবর্তী, ড. কিঙ্কর মণ্ডল, সুশান্ত রায়, ড. পল্লবী সিনহা দাস, অমিত সরকার, দেবলীনা ব্যানার্জী, কমলেশ গায়েন, দীপঙ্কর মণ্ডল, রাজীব দাস প্রমুখ। অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে মহুয়া খাতুন, সঞ্জিত হালদার, সুস্মিতা ভট্টাচার্য জানান, এই ক্যাম্প থেকে তারা যথেষ্ট উপকৃত হয়েছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ক্যাম্প আয়োজন করার জন্য তারা অধ্যক্ষের কাছে লিখিত আবেদনও করেন। এছাড়াও ‘রেড রিবন’ সংস্থার আর্থিক সহায়তায় এইডস নিয়েও একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন পিয়ালি দাস।