বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে বিজেপি তৃণমূলের সংঘর্ষ এলাকায় উত্তেজনা।

খান আরশাদ, বীরভূম। –

    ভোটের পর দিনই হিংসার ঘটনা ঘটলো বীরভূমের মল্লারপুরে। অভিযোগ এক বিজেপি কর্মীকে অস্ত্র দিয়ে হাতে কোপানো হয়। বিজেপি কর্মীরা জানান, গতকাল ভোটের দিন মল্লারপুরের একটি বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট দিতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। সেসময় তৃণমূল ও বিজেপি বিবাদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা তাদের হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু, তৃণমূল কর্মীদের সেই হুমকিকে উপেক্ষা করে বিজেপি পোলিং এজেন্ট দিতে সক্ষম হয়। ঘটনাটি সে সময়ের মতো মিটে গেলেও চাপা উত্তেজনা থেকে যায়। যার ফলস্বরূপ, আজ মঙ্গলবার ফের সংঘর্ষ বাধে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ আজ সকালে তৃণমূলের কর্মীরা কিছু বিজেপি কর্মীর উপর আচমকাই হামলা করে এবং এক বিজেপি কর্মীর হাতে অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ফলে ওই বিজেপি কর্মীর আঙ্গুল কেটে যায়। অপর এক জনের হাতেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপরই এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। বিজেপি কর্মীরাও বাঁশ,লাঠি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে ঘটনাস্থলে মল্লারপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় চারজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছে বলে বিজেপি কর্মীরা জানান। অপরদিকে ময়ূরেশ্বরের ২ নং ব্লকের বহড়া গ্রামেও বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ আজ ময়ূরেশ্বর থানার কোটাসুর গ্রাম লাগোয়া নিমা(বহড়া) গ্রামের একজন বিজেপির কর্মী কোটাসুর স্কুল মোড় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তৃনমূলের কয়েকজন কর্মী ওই বিজেপি কর্মীকে মারধোর করে। এরপর বিজেপি কর্মীরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ষাঠপলসা-রামনগর রোড অবরোধ করে। পরে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।