লর্ডসের ময়দানে ঐতিহাসিক জয় টিম ইন্ডিয়ার

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: কে বলল রূপকথা বাস্তবে পরিণত হয় না? বিদেশ বিভুঁইয়ে বাস্তবের কঠিন ক্রিজে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটের রূপকথা যে তৈরি করা যায়, সেটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন কেএল রাহুল, মহম্মদ শামি, সিরাজরা। একটা সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন কোহলি। এবং ক্যাপ্টেনের সেই সিদ্ধান্তের মর্যাদা রাখলেন ভারতীয় বোলাররা। দুয়ের কম্বিনেশনেই এল মনে রাখার মতো সাফল্য। ঐতিহাসিক লর্ডসে আরও একবার রচিত হল টিম ইন্ডিয়ার জয়ের ইতিহাস।

    চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের স্কোরবোর্ডে ছিল ১৮১ রান। ক্রিজে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা (৩) এবং ঋষভ পন্থ (২২)। সোমবার তাঁরা প্যাভিলিয়নে ফিরলে দলের হাল ধরেন শামি ও বুমরাহ। ২০১৪ ট্রেন্ট ব্রিজের পর ফের ইংলিশ বোলারদের চমকে দেন শামি (৫৬*)। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্ধ-শতরান করে দলকে অনেকখানি এগিয়ে দেন তিনি। দোসর আরেক ভারতীয় পেসার বুমরাহ (৩৪*)। তাঁদের ব্যাটে ভর করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই আট উইকেটে ২৯৮ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন ক্যাপ্টেন কোহলি। এরপরের টার্গেট ছিল ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই ব্রিটিশ বধ। কিন্তু দশটা উইকেট তুলে নেওয়া তো আর মুখের কথা নয়।

    তবে সিরাজ যেন ছিলেন একেবারেই অন্য মেজাজে। নামী-দামি কোনও ব্যাটসম্যানকেই রেয়াত করলেন না। ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিজের সেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কথাই মনে করিয়ে দিলেন তিনি। যেখানে অজিদের ঘরেই তাঁদের হারিয়ে নজির গড়েছিল ভারতের তরুণ ব্রিগেড। একাই নিলেন চারটি উইকেট। আর এদিকে অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে সিমের জালে বার্নস, রুটদের ঝাঁজরা করে ম্যাচ ড্র করার স্বপ্নে জল ঢাললেন বুমরাহ। তাঁর ঝুলিতে এল তিনটি উইকেট।

    ২৭১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২০ রানেই শেষ ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান রুটের। বৃষ্টির কারণে প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল। তবে এই জয়ে পাঁচ টেস্টের সিরিজে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। ইনিংস ডিক্লেয়ার থেকে শুরু করে বেয়ারস্টোর উইকেটের জন্য ডিআরএসের আবেদন- অধিনায়ক হিসেবে যেন আর বহু সমালোচনার জবাব দিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। জয়ের পর তাঁর উচ্ছ্বাসের দৌড়ই বলে দিল, টেস্টে ‘হাম ভি কিসিসে কম নহি’।