|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- হুগলিতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে শ্রম দিবস তৈরি এবং পরিবার পিছু কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সেরা হল আরামবাগ ব্লক। জেলা জুড়ে এই প্রকল্পে অনেক অনিয়মের অভিযোগের মধ্যেও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গত আর্থিক বছরের এই মূল্যায়ন নিয়ে ব্লক প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট ১৫টি পঞ্চায়েত গর্বিত। এই সাফল্য নিয়ে আরামবাগের বিডিও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রচুর স্থায়ী সম্পদ তৈরি করা। আর সেটা রূপায়ণ করতে পারাতেই শ্রম দিবসও তৈরি হয়েছে।”আরামবাগ ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েতের জন্য কেন্দ্রীয় অনুমোদিত বাজেট ছিল ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪২৬ শ্রম দিবস। সে জায়গায় ৩৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৯৩ শ্রম দিবস তৈরি হল কী ভাবে, কেন হল, সত্যি কতটা কাজ হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরের আধিকারিকরা কয়েকবার পরিদর্শন করেন। গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে গ্রামোনন্নয়ন মন্ত্রকের নিয়োগ করা ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং’ (এনএলএম) দলও স্থানীয় বাতানল, সালেপুর-২ এবং মলয়পুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু কাজ দেখেন।বড় কোনও ত্রুটি না পেলেও ১০০ দিন কাজ প্রকল্পে কয়েকটি ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি এবং বিশেষ করে অনলাইনে নথিভুক্ত কাজের (ওয়ার্ক আইডি) সঙ্গে বোর্ডের সামঞ্জস্য নেই বলে ত্রুটির কথা জানান। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে দুর্বল বা শুকিয়ে যাওয়া চারা গাছ দেখে তদারকি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরে আরও দু’বার কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল এলেও তারা আর আরামবাগ আসেনি।
খালি শ্রম দিবস তৈরির ক্ষেত্রে সারা রাজ্যের নিরিখে আরামবাগ ব্লক আবার তৃতীয়। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলি ব্লক, সেখানে শ্রম দিবস ৪৪ লক্ষ ৪১ হাজার ২৫ দিন। এবং কুলপি। সেখানে শ্রম দিবস ৪১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬১৪ দিন।শ্রম দিবস তৈরির ক্ষেত্রে জেলা হিসাবে হুগলি রাজ্যের দ্বিতীয় স্থানে। এখানে মোট শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে ২ কোটি ৯০ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৯৫। হুগলি জেলায় পরিবার পিছু গড় কাজের দিন: ৪৩.০৬ দিন। প্রথম স্থানে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার শ্রম দিবস ৪ কোটি ৮২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫২৩। প্রকল্পের জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ব্লকগুলিকে কাজের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া, স্থায়ী এবং সময়োপযোগী কাজ বাছাই এবং কাজের তদরাকির জন্য পঞ্চায়েত পিছু একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ এবং জেলা থেকে দফায় দফায় তদারকি করাতেই এই সাফল্য মিলেছে।”