প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অর্থের অভাবে যেন হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণ কাজ থেমে না থাকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অর্থের অভাবে যেন হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণ কাজ থেমে না থাকে। এ ব্যাপারে জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে নজর রাখতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়িতে এসে সার্কিট হাউসে ‘গার্ড অফ অনার’ নিয়েই তিনি জেলা বিচার বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। এখান থেকে বের হয়ে প্রথমে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর মোড়ের কাছে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করতে যান। অস্থায়ী সার্কিট বেঞ্চও ঘুরে দেখেন তিনি।

     

    নির্মাণ কাজের স্থলে দাঁড়িয়ে মানচিত্র দেখে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরিকল্পনা বুঝে নেন তিনি। কোথায় কোন ভবন তৈরি হচ্ছে তা জানতে চান তিনি। কত টাকা এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে তাও জেনে নেন দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে।পাহাড়পুরের জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় চল্লিশ একর জমিতে এই স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য মোট ৩৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও এখনও পর্যন্ত মোট ২৯ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর । গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নিচু জলা জমিকে মাটি ভরাট করার পর কাজ শুরু করা হয় বলে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা সূত্রের খবর।

     

    প্রধান বিচারপতি বেঞ্চের অডিটোরিয়াম হল, লাইব্রেরি, প্রধান বিচারপতির আবাস, স্যুইমিং পুল, ক্লাব ও অন্যান্য পরিকাঠামোর কাজ এই প্রকল্পের মধ্যে ধরা আছে কিনা তাও জেনে নেন ।

    অস্থায়ী বেঞ্চ পরিদর্শন করে খুবই ছোট জায়গার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। বেঞ্চের বিচারপতিদের কাছে তাঁদের থাকার কোনও অসুবিধে হচ্ছে কিনা তাও জানতে চান। বিচারপতিরা অবশ্য এই ক্ষেত্রে তাঁদের থাকা নিয়ে কোনও অসুবিধে হচ্ছে না বলে জানান।

     

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছ থেকে জলপাইগুড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলির কথাও জানতে চান বলে সূত্রের খবর। এরপর জলপাইগুড়িতে এসে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।

     

    এ দিন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিচারক বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সার্কিট বেঞ্চের বর্তমান বিচারক মৌসুমী ভট্টাচার্য, জয় সেনগুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, অতিরিক্ত জেলাশাসক বিবেক ভাসমে, জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘প্রধান বিচারপতির নির্দেশর কথা পূর্ত দফতরের সচিবকে জানানো হয়েছে।’’