|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের সময়ই দল ভাঙানোর জন্য বিধায়কদের টোপ দেওয়া শুরু হয়েছিল৷ সে যাত্রায় রাজস্থানে কংগ্রেস বাজিমাত করলেও শেষ পর্যন্ত অশোক গেহলট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়েই রাজস্থানে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কারণ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের সঙ্গে অন্তত কুড়িজন বিধায়ক যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে খবর৷ শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সচিন পাইলটের সঙ্গে ১২জন বিধায়ক দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গেও দেখা করেছেন বলে খবর৷ শুধু তাই নয়, বিক্ষুব্ধ অন্তত ১৬জন বিধায়ক দিল্লি এবং এনসিআর-এর বিভিন্ন এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন বলে খবর৷ এর মধ্য সচিন পাইলট রাতে দিল্লি থেকে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা দিয়েও জয়পুরে পৌঁছননি৷ ফলে সচিন পাইলটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে৷
রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি অবিনাশ পান্ডের অবশ্য দাবি, এখনও কোনও বিক্ষুব্ধ বিধায়ক তাঁর সঙ্গে দেখা করে কোনও অভিযোগ জানাননি বা হাই কম্যান্ডের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাননি৷পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বাসভবনেও তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ রাজ্য কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতা এবং সরকারের বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন৷ এক নির্দল বিধায়কও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন৷রাজস্থানে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টায় বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকারের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ৷ এর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ছিল রাজস্থানের রাজনীতি৷ জানা গিয়েছে, স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের দায়ের করা এফআইআর-এ তাঁর দিকে অভিযোগের তির থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন সচিন পাইলট৷
সেই ক্ষোভের কথা জানাতেই তিনি দিল্লিতে গিয়ে সনিয়া গান্ধি এবং আহমেদ পটেলের সঙ্গে দেখা করেন৷বৈঠকে সরকার এবং দল চালানোর ক্ষেত্রে তাঁকে উপেক্ষা করা হচ্ছে আহমেদ পটেলের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন পাইলট৷ যদিও দল তাঁর সঙ্গে অবিচার করবে না বলেই পাইলটকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে খবর৷ রাজস্থানে অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার পর থেকেই তা নিয়ে সচিন পাইলট শিবিরের ক্ষোভ ছিল৷ যদিও এতদিন তা এভাবে প্রকাশ্যে আসেনি৷