পণের ফ্রিজ দিতে না পারায় গৃহবধূকে খুন!

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিয়েতে পণের জন্য টাকা তো চেয়েছিল। সঙ্গে ছিল ফ্রিজ, সোনার গহনা, আসবাবপত্রের দাবি। কিন্তু মেয়ের বাড়ি যথাসাধ্য সব কিছু দিয়েও শুধু ফ্রিজটি দিয়ে উঠতে পারেনি। আর তা নিয়েই শ্বশুরবাড়িতে এসে গৃহবধূকে উঠতে বসতে লাঞ্ছনা শুনতে হত। অভিযোগ, শারীরিক নির্যাতনও করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই অশান্তির মধ্যেই শুক্রবার মেয়ের মৃত্যুর খবর যায় বাপের বাড়ির কাছে। তবে পরিবারের অভিযোগ, মেরে ফেলা হয়েছে গৃহবধূকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানিতর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম আজমিরা ফিরদৌসী (২০)। আজমিরা বাদুড়িয়া থানার নগরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে দুবছর আগে বসিরহাট পানিতর গ্রামের বছর ২৪ এর শাহিনুর গাজির বিয়ে হয়। শাহিনুর পেশায় দর্জি।

     

    মেয়ের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ দিয়েছিল। নগদ ৫০ হাজার টাকা, সোনার গহনা ও আসবাবপত্র সহ একাধিক সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফ্রিজ দিতে পারেনি। অভিযোগ, সেই কারণে দু’বছর ধরে তাঁদের মধ্যে বচসা গণ্ডগোল মারধর শুরু হয়। এমনকী সালিশি সভা বসলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। গত ৬ মাস আগে একটি পুত্র সন্তান হয় দম্পতির। অভিযোগ, তারপর পণের দাবিতে আরও মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুর সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর শুক্রবার গণ্ডগোল চরম আকার ধারণ করে।মৃত গৃহবধূর মা ফরিদা বিবির অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বধূর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। মৃতের পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।বিয়েতে পণের জন্য টাকা তো চেয়েছিল। সঙ্গে ছিল ফ্রিজ, সোনার গহনা, আসবাবপত্রের দাবি। কিন্তু মেয়ের বাড়ি যথাসাধ্য সব কিছু দিয়েও শুধু ফ্রিজটি দিয়ে উঠতে পারেনি। আর তা নিয়েই শ্বশুরবাড়িতে এসে গৃহবধূকে উঠতে বসতে লাঞ্ছনা শুনতে হত। অভিযোগ, শারীরিক নির্যাতনও করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই অশান্তির মধ্যেই শুক্রবার মেয়ের মৃত্যুর খবর যায় বাপের বাড়ির কাছে। তবে পরিবারের অভিযোগ, মেরে ফেলা হয়েছে গৃহবধূকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানিতর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম আজমিরা ফিরদৌসী (২০)। আজমিরা বাদুড়িয়া থানার নগরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে দুবছর আগে বসিরহাট পানিতর গ্রামের বছর ২৪ এর শাহিনুর গাজির বিয়ে হয়। শাহিনুর পেশায় দর্জি।মেয়ের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ দিয়েছিল। নগদ ৫০ হাজার টাকা, সোনার গহনা ও আসবাবপত্র সহ একাধিক সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফ্রিজ দিতে পারেনি। অভিযোগ, সেই কারণে দু’বছর ধরে তাঁদের মধ্যে বচসা গণ্ডগোল মারধর শুরু হয়। এমনকী সালিশি সভা বসলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। গত ৬ মাস আগে একটি পুত্র সন্তান হয় দম্পতির। অভিযোগ, তারপর পণের দাবিতে আরও মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুর সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর শুক্রবার গণ্ডগোল চরম আকার ধারণ করে।মৃত গৃহবধূর মা ফরিদা বিবির অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বধূর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। মৃতের পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।