তৃণমূলকে না হারালে, বিজেপিকে হারানো যাবে না: সীতারাম ইয়েচুরি

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলকে না হারালে, বিজেপিকে হারানো যাবে না, বললেন সীতারাম ইয়েচুরি। সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোহ, তৃণমূল ও বিজেপি বারবার সংঝোতা করেছে। একই সরকারে থেকে তারা। দুই দলের মধ্যে নীতিগত কোনও পার্থক্য নেই বলেও অভিযোগ করেছেন সীতারাম ইয়্চুরি। সেই কারণে বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলকে হারানোর ডাক দিয়েছেন তিনি। সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক এই দুই দলের বিপরীতে বিকল্প নীতি ও বিকল্প রাজনীতি নিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেছেন, কাজ ও নীতির ফারাক না থাকলে শুধুমাত্র বিরোধিতায় বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয় না। বিহারে এনডিএকে হারাতে মহাজোট তৈরি হলেও, বাংলায় তা হওয়া সম্ভব নয়। কেননা দুই রাজ্যের পরিস্থিতি আলাদা। বক্তব্যের মাধ্যমে সীতারাম বলেছেন, দেশে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে হলে, বাংলায় তাদের রুখতে হবে।করোনা আবহের মধ্যেই বিধানসভা ভোটের দামামা। করোনা পরিস্থিতি প্রথম বিধানসভা ভোট পর্ব চলছে বিহারে।

    ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া তিন দফার ভোট পর্বে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা। একইসঙ্গে বাংলার আসন্ন নির্বাচনও ঝড় তুলেছে জাতীয় রাজনীতির ময়দানে। মোদি শাহের পদ্ম রথের অশ্বমেধ ঘোড়ার মোকাবিলায় বিহারে হোক পশ্চিমবঙ্গ হাত শিবিরের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়ার কৌশলী পন্থা নিয়েছে বাম শিবির বিহারে নীতীশ-এনডিএ-এর মোকাবিলায় সমানে সমানে টক্কর কংগ্রেস, আরজেডি ও বামেদের মহাজোটের। বাম শিবিরের ভোট কৌশল, দলের স্ট্র্যাটেজি নিয়েই এর প্রশ্নের মুখোমুখি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। জানালেন রাজ্য রাজনীতিতে কোন কৌশলে নিয়ে ভোট ময়দানে বামেরা ৷

    এই জোটের পিছনে অনেক কারণই রয়েছে। বিশেষত শেষ একবছর ধরে জাতীয় রাজনীতিতে যে পরিস্থিতি চলছে! নীতিহীন একনায়কতন্ত্র ধ্বংস করে ফেলছে দেশের সংবিধান ও সাবিধানিক রীতিনীতি। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারলে আরও গভীর সঙ্কটের দিকে এগিয়ে যাবে ভারত ৷ সেই কারণেই এখন বিজেপিকে সরানোই মূল উদ্দেশ্য ৷ সেই লক্ষ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট ৷ এই জোটের লক্ষ্য বিজেপির হার ৷ বাংলার ক্ষেত্রে তৃণমূলের কাজের প্রচুর বিরুদ্ধ মত তৈরি হয়েছে যেকারণে বিরোধীরা ঠিক মতো একজোট হতে না পারায় শেষ লোকসভা নির্বাচনে লাভ লুটেছে বিজেপি। সেই পয়েন্ট থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই বিরোধীরা একজোট না হতে পারলে অ্যান্টি বিজেপি, অ্যান্টি তৃণমূল ভোট একদিকে আনা যাবে না ৷ ভোট ভাগ রুখতেই বাংলায় এক হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত। রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাবে বামদল এবং সিপিআইএম ৷

    প্রাথমিকভাবে অবশ্যই মূল টার্গেট বিজেপি, কিন্তু তৃণমূল না হারালে তো বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয় ৷ তাই তৃণমূলও প্রতিপক্ষ। তৃণমূলের ঘাড়ে ভর করেই বাংলায় ঢুকেছে বিজেপি ৷ গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগেও বিভিন্ন উপলক্ষে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। দলনেত্রী নিজে এনডিএ সরকারের আমলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। সুতরাং বিজেপিকে মুছে ফেলতে হলে তৃণমূলকে হারানো অত্যন্ত জরুরি।