দিল্লিতে সৌরভ অমিত শাহ একই মঞ্চে, বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: জল্পনাই ছিল সেইমতো ফিরোজ শাহ কোটলায় অরুণ জেটলির মূর্তির উন্মোচনের অনুষ্ঠানে হাজির হলেন। সেখানে থাকলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মূর্তি উন্মোচনের পর পাশাপাশি কিছুক্ষণ দাঁড়াতে দেখা যায় সৌরভ এবং শাহকে।

    ৬৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মূর্তি উন্মোচন করা হয়। যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ডিডিসিএ) প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আপাতত সেখানে দায়িত্বে আছেন তাঁর পুত্র রোহন জেটলি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মূর্তি নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক বিতর্ক হয়েছে। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিষেণ সিং বেদী।

    কিন্তু রবিবার বিকেল থেকে সেইসব ছাপিয়ে যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে একইমঞ্চে সৌরভ এবং শাহের উপস্থিতি। জল্পনা ছড়ায়, সেখানে শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সৌরভ। আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমনিতেই সৌরভের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে। এমনকী সৌরভকে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতেও পারে বলে গুঞ্জন থামছে না। যদিও বঙ্গ সফরে এসে সেই প্রশ্নের জবাবে শাহ জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর তালিকায় অনেকের নাম আছে। তা নেহাত ছোটো নয়। তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে সৌরভের সম্ভাবনাও খারিজ করে দেননি শাহ। তার আগে মহারাজের ৪৮ তম জন্মদিনে সৌরভের স্ত্রী ডোনার ইঙ্গিতবহ মন্তব্যে সেই জল্পনার হাওয়া আরও জোর হয়। রাজ্য বিজেপির ‘মুখ’ হয়ে উঠবেন কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে ডোনা জানিয়েছিলেন, সৌরভ যে পিচেই খেলেন, সেখানেই শীর্ষে থাকেন। রাজনীতিতে যোগ দিলে সেখানেও সৌরভ ‘শীর্ষে’ থাকবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন ডোনা। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, সৌরভ রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তারপর দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছিলেন ডোনা। তাতে আরও বাড়ে জল্পনা।

    তবে শাহের আগমন নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। সেইসব অনিশ্চয়তার মেঘ দূর করে অনুষ্ঠানে আসেন শাহ। যেখানে ছিলেন সৌরভও। মূর্তি উন্মোচনের পর শাহের বাঁ-দিকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তবে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। পরে একেবারে পাশাপাশিও দাঁড়ান তাঁরা। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলেন গৌতম গম্ভীর, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়নারা।