মেদিনীপুরে ঘুড়ির মাঞ্জা সুতোতে আটকে পড়া পেঁচা উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক শিক্ষিকা,দুই শিক্ষক ও তিন যুবকের তৎপরতায় মাঞ্জা সূতায় আটকে থাকা পেঁচা উদ্ধার হলো মেদিনীপুর শহরে।সোমবার সকালে মেদিনীপুর শহরের মানিকপুর এলাকার বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন পুকুরপাড়ে গাছের ডালে ঘুড়ির মাঞ্জা সুতোতে আটকে পড়েছে একটি বড় আকারের লক্ষ্মী পেঁচা। বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দা তপন পালধীর নজরে। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুকুর পাড়ের বাসিন্দা মেদিনীপুর শহরের মিশন গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা সুমনা পাত্র মোবাইলে আটকে পড়া পেঁচাটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে উদ্ধারের আবেদন জানান এবং পাশাপাশি তাঁর পরিচিত মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা, কেশপুরের মহিষাগেড়্যা এএম‌এ হাই মাদ্রাসার শিক্ষক নরসিংহ দাস কে জানান। নরসিংহবাবু সঙ্গে সঙ্গে মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরের বাসিন্দা, পাঁচগেছিয়া হাইস্কুলের শিক্ষক মনিকাঞ্চন রায়কে বিষয়টি জানান। দেরিনা করেই দুজনে ঘটনাস্থলে হাজির হন। এই দুই শিক্ষক ও শিক্ষিকা সুমনা পাত্রের ভাই শুভাশীষ দাস পেঁচা উদ্ধার করতে গিয়ে জঙ্গলাকীর্ণ পুকুরপাড়ে কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। তাঁরা বাঁশ যোগাড় করে নানাভাবে চেষ্টা করেও সুবিধা করতে পারেননি। ইতিমধ্যেই ফেসবুক পোস্ট দেখে ঘটনাস্থলে হাজির হন পালবাড়ির দুই যুবক সূর্য চক্রবর্তী ও মনোজ সহিস। মনোজ পুকুরে নেমে যান, বাঁশ দিয়ে টানতে সাহায্য করেন নরসিংহ ও মনিকাঞ্চণ ।অবশেষে এই পাঁচ জন যুবকের তৎপরতায় উদ্ধার হয় লক্ষ্মী পেঁচা। স্থানীয়রা উৎসাহিত হয়ে লক্ষ্মী পেঁচা দেখতে ভিড় জমান। উদ্ধার হওয়ার পর দেরী না করে নরসিংহ বাবু ও মণিকাঞ্চন বাবু পেঁচা টিকে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনের ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসে দিয়ে আসেন।

     

     

    স্থানীয় অধিবাসী তপন পালধী বলেন, পুকুরপাড়ের এই জায়গাটি জঙ্গলাকীর্ণ হ‌ওয়ায় রাতে অনেক পেঁচা আসে। নরসিংহ বাবু বলেন,”ঘুড়ির থেকে কেটে যাওয়া মাঞ্জা সুতো খুবই মারাত্মক। ভাগ্যিস পেঁচার গলায় আটকে যায়নি। পেঁচা কে উদ্ধার করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো”। দেরি না করেই নরসিংহ দাস ও মনিকাঞ্চণ রায় পেঁচাটিকে নিয়ে পুলিশ লাইনের ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসে দিয়ে আসেন। মনিকাঞ্চনবাবু বলেন,”একটা প্রাণকে উদ্ধার করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। জীববৈচিত্রের অঙ্গ যে কোন প্রাণীরই পরিবেশে বেঁচে থাকা জরুরি”।