কর্ণাটক এর হিজাব বিতর্ক ঘটনায়, কি বললেন বিধায়ক নাওসাদ সিদ্দিকী ! 

কর্ণাটক এর হিজাব বিতর্ক ঘটনায়, কি বললেন বিধায়ক নাওসাদ সিদ্দিকী ! 

    নতুন গতি ডেস্ক : বিধায়কের মন্তব্য ,  ভারত বহু ধর্মের, বহু সংস্কৃতির সমাহার। কিন্তু এই সময় কর্ণাটকের কিছু্ অংশে যা ঘটছে তাতে এই অভিধা যেন বেমানান হয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণপন্থী কিছু গোষ্ঠী, বিশেষত এবিভিপি’র চাপে কিছু কলেজের কর্তৃপক্ষ মুসলমান ছাত্রীদের হিজাব পরিধানকে নিষিদ্ধ করতে সচেষ্ট হয়েছে। এমনকি কলেজের ইউনিফর্মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাথার স্কার্ফকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের সংবিধানে সবার ধর্মীয় বিধি মেনে চলার অধিকার আছে। সংবিধানে প্রতিশ্রুত মৌলিক স্বাধীনতা ও অধিকারকে সবার সম্মান দিতে হবে ও রাষ্ট্রকে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে এগুলিকে এই মৌলিকতা বিনষ্ট না হয়। কিন্তু আমরা দেখছি এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে যেখানে একটা বিভেদ রেখা তৈরি হচ্ছে। খাদ্য-বস্ত্র, যা মানুষের একান্ত নিজস্ব রুচি ও পছন্দের বিষয়, সেখানে হস্তক্ষেপ করা ‌হচ্ছে। সংখ্যাগুরুর নৈতিকতা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে জোর করে। খর্ব করা হচ্ছে সাংবিধানিক নৈতিকতাকে। কিন্তু আমাদের সাংবিধানিক নৈতিকতাকেই মান্যতা দিতে হবে কেননা এখানেই বহু ধর্ম, বহু ভাষাভাষী, বহু সংস্কৃতির অপরূপ মিলনস্থল। এখানেই একক মানুষই বলুন বা সম্প্রদায়, সকলের মর্যাদা অম্লান।
    কর্ণাটক উচ্চ ন্যায়ালয় এই সংক্রান্ত মামলায় সঠিকভাবে পর্যবেক্ষন করেছে যে হিজাব সম্পূর্ণ একটি ব্যক্তিগত বিষয়। এক্ষেত্রে সরকারের আদেশ ব্যক্তির স্বাধীনতাকে উল্লঙ্ঘন করছে।
    হিজাব নিয়ে এই হইচইকে আরো বড় পরিসরে আমাদের দেখতে হবে। সেটি হলো ইসলাম সম্পর্কে অহেতুক ভীতি ছড়ানোর প্রক্রিয়া, যাকে আমরা ইসলামোফবিয়া বলে থাকি। এই প্রক্রিয়াকে আমরা তীব্র নিন্দা করি। পাশাপাশি, দেশজুড়ে গেরুয়া গুন্ডাবাজীর প্রতিবাদে যে প্রতিরোধ, সেটা এক নতুনধরনের ভাষার জন্ম দিচ্ছে যা আদ্যপান্ত সাংবিধানিক। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। যেকোন মানুষের তার পরিধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে। এই মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে কোন আপস হতে পারে না। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) দৃঢ়তার সঙ্গে ঐসকল ছাত্রী, যাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাদের পাশে আছে ও সংহতি জানাচ্ছে।