|
---|
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৫৭ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি
নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: ওপার বাংলার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৫৭ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৩৯ জন, যা গত ৭০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সামলানোর মুখে বাংলাদেশ। স্বাভাবিক কারণেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আর করোনাভাইরাসের এই দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে ব্যাপক হারে টেস্ট বাড়ানোর পরামর্শই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন ভিত্তিক র্যাপিড টেস্ট কিটের ব্যবহার শুরু করা যেতে পারে বলে অভিমত তাঁদের। তবে, বাংলাদেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষের অসচেতনতা এই দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার বড় কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। সেইসঙ্গে ধীরেধীরে জাঁকিয়ে বসছে শীতও। ফলে ফের অগ্নিপরীক্ষার মুখে বাংলাদেশ।
এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬২৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ জন মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৫৯৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৩.৮৩ শতাংশ মানুষের শরীরেই মিলেছে করোনাভাইরাস। মৃত্যু হওয়া ৩৯ জনের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ৯ জন মহিলা। আর এই পরিস্থিতিতে ফের চিন্তায় বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের স্বাভাবিক জনজীবনে এখনও কিছুটা সতর্কতা লক্ষ্য করা গেলেও বেশ কিছু জমায়েত হয়েছে সাম্প্রতিক কালে। তার ফলেই সংক্রমণ বাড়ছে বলে আশঙ্কা অনেকের।
বাংলাদেশে চলতি মাসে দৈনিক টেস্টের সংখ্যা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি টেস্ট করা হয়েছিল ১২ নভেম্বর। সেদিন ১৭ হাজারের বেশি টেস্ট করা হয়েছিল। আর সর্বনিম্ন ৭ নভেম্বর, ১১ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ দৈনিক টেস্টের সংখ্যা এখনও সেদেশে গড়ে ১৫ হাজারের বেশি নয়। যা গোটা তুলনায় অনেকটাই কম বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
অপরদিকে, ভারতে গত চার মাসে এই প্রথম ৩০ হাজারের নীচে নামল দেশের করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার মানুষ। ফলে মোট সংক্রমণের সংখ্যা হয়েছে ৮৮.৭৪ লাখ। শেষবার দেশে ৩০ হাজারের নীচে দৈনিক সংক্রমণ নেমেছিল গত ১৫ জুলাই। সে দিন সংক্রমিত হন ২৯,৪২৯ জন। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪৯ জনের।