রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বাল্য বিবাহ রোধ করতে অভিনব উদ্যোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার গ্রামে

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নানান প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। সেই সব প্রকল্পের সুফলতাও এখন অসীম। তবে এরই মাঝে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বাল্য বিবাহ রোধ করতে অভিনব উদ্যোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার গ্রামে। বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামের কুসুম্বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা শপথ বাক্য পাঠ করেন। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন স্কুল প্রাঙ্গনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে প্ল্যাকার্ড হাতে শপথ গ্রহণ করতে লক্ষ্য করা যায় ছাত্রীদের। ‘বাল্য বিবাহ আর না’, এই প্ল্যাকার্ড হাতে তাদের শপথ গ্রহণ করতে লক্ষ্য করা যায়। এদিন পড়ুয়াদের এই শপথ বাক্য পাঠ করান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই নিহার মুখোপাধ্যায়। শপথ বাক্যে বলা হয়, \”আমি কুসুম্বা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। আজ বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিনে এই মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হচ্ছি যে, আমি নিজেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবো এবং ২১ বছরের পূর্বে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হবো না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছি।\” এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশীষ ব্যানার্জি জানান, \”কন্যাশ্রী মুখ্যমন্ত্রীর একটি স্বপ্নের প্রকল্প। তিনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে চেয়েছেন মেয়েরা পড়াশোনার মাধ্যমে নিজের পায়ে দাঁড়াক। এর ফলে পরনির্ভরতা যেমন কাটবে তেমন মেয়েরা স্বাধীন হবে। বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমবে। এখানে শিক্ষা অনেকখানি প্রাধান্য পাবে। তাই স্কুলে যে শপথবাক্য পাঠ করানো হল তাঁর একটা তাৎপর্য রয়েছে। আগামী দিনে এই প্রতিজ্ঞার মধ্য দিয়ে তারা বড় হয়ে উঠবে।\” স্কুলের পড়ুয়ারাও জানিয়েছেন, \”প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবো এটাই আমরা চাই। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দেখতে পাই অনেক অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন বাবা মায়েরা। সেই বিয়ে যাতে না হয় এবং যেন প্রত্যেকে স্বাবলম্বী হতে পারেন তার জন্য এই শপথ বাক্য পাঠ।\”