হরিশ্চন্দ্রপুর আইটিআই কলেজে আইসোলেশন সেন্টার খুলতে বাধা ও বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

উজির আলী, নতুন গতি:করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার খুলতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ল প্রশাসন। ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার থেকে গুজব ওঠে মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর আইটিআই কলেজে। করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হবে এমনটাই এলাকায় গুজব রটিয়েছিল। এই আশঙ্কার কথা শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা সেদিনই অতিরিক্ত জেলা শাসকদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কলেজের গেট বন্ধ করে তার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেদিন ঘন্টাখানেক বিক্ষোভের পরেই প্রশাসনিক কর্তাদের আশ্বাসে স্থানীয়রা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই আবার ওই আইটিআই কলেজে আইসোলেশন সেন্টার হওয়ার কথা চাউর হয়ে যায় এলাকায়। পরে বিকেল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় জমতে থাকে ওই আইটিআই কলেজ চত্বরে।উত্তেজিত জনতার দাবি এই হরিশ্চন্দ্রপুর জনবহুল এলাকায় অবস্থিত তাই এখানে করোনা পেশেন্টদের রাখা যাবে না।গত শনিবারের নাই আজো আইটিআই কলেজের গেট বন্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। খাট ও মেডিকেল সরঞ্জাম রাখার গাড়ি গ্রামবাসী মিলে আটকে দেয়, গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা |
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর হরিশ্চন্দ্রপুর আইসোলেশন সেন্টারটি তে মূলত হরিশ্চন্দ্রপুর এর দুটি ব্লক ও চাঁচল থানার দুটি ব্লকের করোনা পজেটিভ রোগীদের রাখা হবে আইসোলেশন করে। একই প্রক্রিয়াতে মানিকচকে ও আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে বলে খবর।

    স্থানীয় বাসিন্দা অঞ্জলি দাস জানান, আমরা এখানে কোন মতেই আইসোলেশন সেন্টার খুলতে দেব না। আগের দিন প্রশাসনিক কর্তারা আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যেখানে কোন সেন্টার খোলা হবে না। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আজ এখানে সেন্টার খোলা হচ্ছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। এর জন্য আমরা এখানে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাবো।

    এলাকার বাসিন্দা অর্চনা রায় জানান,হরিশ্চন্দ্রপুর ডেলিমার্কেটের কাছে জনবহুল এলাকায় এই আইটিআই কলেজ অবস্থিত এখানে কোন মতেই আমরা কোন রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করতে দেবো না।

    হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান রিসবা খাতুন এর স্বামী আফজাল হোসেন হোসেন জানান এলাকার বাসিন্দারা যেটা চাইবে সেই হিসাবে কাজ হবে।

    এদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু, স্বাস্থ্য আধিকারিক অমল কৃষ্ণ মন্ডল, ও মেডিক্যাল অফিসার ছোটন মন্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। খবর লেখা পর্যন্ত এখনো এলাকার বাসিন্দাদের বিক্ষোভ চলছে।
    ব্লকস প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাননি
    ঘটনার খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে খবর।