|
---|
বাবলু হাসান লস্কর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জমিয়ত উলামা হিন্দের পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কেড়ে নেওয়া সুন্দরবন লাগোয়া গ্রামের মানুষের বেঁচে থাকার আশ্রয় স্থল। এই মুহূর্তে বাঁচার আপ্রাণ প্রচেষ্টা । একে একে খোয়াতে়া হয়েছে ক্ষেতের ফসল, পুকুরের মাছ, গৃহস্থালির গৃহ পালিত পশু, এমনকি বাড়ির মধ্যে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আশ্রয়স্থল হিসেবে সরকারি সেন্টার কিংবা ঢালাই রাস্তার উপরে দিন যাপন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখানোর পরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং জমিয়ত উলামা হিন্দের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে যশ নামক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই মুহূর্তের প্রচেষ্টা। তাতের কে এই মুহূর্তে আশার আলো দেখাতে ও তাদের পাশে দাঁড়াতে শুরু করলেন । কোথাও নিজ উদ্যোগে রান্না করা খাবার তুলে দিচ্ছেন, সাথে সাথে শুকনো খাবার, কোথাও পরনে বস্ত্র। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন ব্লকে তাদের এই কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন। সাথে সাথে বিভিন্ন সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবীরা এই কাজে নেমে পড়েছেন। এলাকার জনপ্রতিনিধি তারাও এ কাজে হাত লাগিয়েছেন। গ্রামের গুটিকয়েক ছেলে মানুষের দুর্দশায় পাশে থাকার সংকল্প গ্রহণ করেছেন ও এই কাজে হাত মিলিয়েছেন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় যে সমস্ত পরিবার সহায় সম্বলহীন এই মুহূর্তের উদ্বাস্তু অবস্থায় থাকা ।তাদের পাশে দেখা গেল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা কুলতলী গোপালগঞ্জে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দে। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী দিনে পানীয় জল থেকে রাস্তাঘাটের মানোন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে আজ তারা মানুষের দুয়ারে। যেখানে পৌঁছায় নি উন্নয়নের ছোঁয়া। অনুন্নয়নের ছোঁয়ায় ভরপুর যে সমস্ত জায়গায় মানুষজন । ত্রাতা হিসেবে দেখা মিলল জমিয়ত উলামা হিন্দে কর্মীদের। সাথে সাথে এলাকার সমস্ত মানুষজন এমন মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন আগামী দিনে পিছিয়ে পড়া সুন্দরবন বাসীদের পাশে,ও মানুষের সাথে এবং মানুষের পাশে তারা কাজ করবেন এমনই আশা-ভরসা তাদের। এমনই যায়গা যেখানে মাতৃযান গাড়ি পৌছাতে পারেনা। কিন্তু একেবারেই কুলতলির কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি থাকা মানুষগুলো নদীবেষ্টিত এলাকায় না আছে তাদের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান। তার উপরে যশ নামক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ইতিপূর্বে বুলবুল ফণি আমফানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় তাদেরকে প্রতিবছরই কেড়ে নিচ্ছে । প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সুন্দরবন বাসীর । করোনা মহামারী যখন সারা বিশ্বকে টনক নাড়িয়ে দিচ্ছে, তার মধ্যে লকডাউন। লকডাউনের মধ্যেই যশ নামক প্রাকৃতিক বিপর্যয় তাদেরকে সর্বস্বান্ত করেছে। একদিকে করোনা নামক মারণ ভাইরাস যেভাবে মানুষের শিরায় শিরায় বইতে শুরু করেছে। তার মধ্যেই যশ কেড়ে নিল তাদের সমস্ত সম্পদ। সামাজিক দূরত্বকে শিকেয় তুলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে যেতে হচ্ছে। যেখানে নেই কোন ভেদাভেদ হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোনজন কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা’র। কবির ভাষায় বলতে গেলে এখানে কে কোন সম্প্রদায় কোন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানবিকতার নজির গড়লেন ।