নির্বাচন প্রচারে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন JDRP প্রার্থী “নারায়ণ সিং

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: শে দুষ্কৃতীরা অতর্কিতে প্রার্থীকে গুলি করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ২৮ অক্টোবর বিহারে প্রথম দফার ভোট। পুলিশ জানায়, তার আগে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র শেওহরপুরে এদিন প্রচারে বেরিয়েছিলেন নারায়ণ সিং। সেসময় বাইকআরোহী দুই দুষ্কৃতী প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

    পুলিশ সূত্রে খবর, ‘জনতা দল রাষ্ট্রবাদী’ নামে একটি দলের টিকিটে বিহারের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন নারায়ণ সিং। শনিবার তিনি পূর্ণিয়া থানা এলাকার হাথসর গ্রামে গিয়েছিলেন প্রচারে। প্রার্থীর চারপাশে জনজটলার সুযোগ নেয় হামলাকারীরা। বাইকআরোহী দুই সশস্ত্র বন্দুকবাজ ভিড়ের আড়াল থেকে গুলি করে নারায়ণ সিংকে। গুলি লাগে তাঁর বুকে। সমর্থকেরা ওই অবস্থায় তড়িঘড়ি নারায়ণ সিংকে শেওহর সদর হাসপাতলে নিয়ে যান। সেখান থেকে সীতামারির নান্দীপট মেমোরিয়াল হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু, বেসরকারি ওই হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মারা যান নারায়ণ সিং।

     

    শনিবারের ঘটনায় নারায়ণ সিংয়ের দুই প্রচারসঙ্গীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সীতামারি ও শেওহরের দু’টি হাসপাতালে তাঁরা এখন চিকিত্‍‌সাধীন নারায়ণ সিংয়ের সমর্থকদের যদিও দাবি, দু-জন নয়, ১০-১৫ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল চড়াও হয়েছিল।আর একটি সূত্রে খবর, নিহত প্রার্থীর তিন সঙ্গী সন্তোষ কুমার, অভয় কুমার ও অলোক কুমার এদিনের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই সূত্রের দাবি, বাইকআরোহী দুই হামলাকারীর একজনকে নারায়ণ সিংয়ের সমর্থকেরা পিটিয়ে মেরে ফেলে।

    পুলিশ জানাচ্ছে, শেওহরের নির্দল প্রার্থী নারায়ণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ২৪টির বেশি ফৌজদারি মামলা ছিল। থাকতেন শেওহর জেলারই নয়াগাঁওয়ে। একটা সময় নয়াগাঁওয় পঞ্চায়েতের প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন। শেওহরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাকেশ কুমার জানান, নির্বাচনী প্রচারে সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে থাকার সময়েই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। তিনি জানান, কমপক্ষে ৫-৬ জন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। ইতিমধ্যে ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।

    সূত্রের খবর, এই শেওহর কেন্দ্র থেকে নারায়ণ সিং-সহ ১৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই কেন্দ্র থেকে আরজেডির প্রার্থী চেতন আনন্দ। জেডি (ইউ) প্রার্থী মহম্মদ শরফুদ্দিন এই কেন্দ্রের বিধায়ক। দ্বিতীয় দফায়, ৩ নভেম্বর এই কেন্দ্রে ভোট রয়েছে।

    বিহারের ২৪৩টি আসনে তিন পর্যায়ে ভোট। প্রথম দফার ভোট ২৮ অক্টোবর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ভোট যথাক্রমে ৩ ও ৭ নভেম্বর। ১০ নভেম্বর ভোট গণনা।