|
---|
লুতুব আলি, নতুন গতি : কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্ব কবি বহরমপুরে আলোড়ন। কাজী নজরুল ইসলাম সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। শৈশব তথা বাল্যকাল থেকেই তাঁর বর্ণময় জীবনে ছিল দুঃখে ভরপুর। তাইতো নজরুলকে দুখু মিয়াও বলা হয়। ঐতিহাসিক শহর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে অনুষ্ঠিত হল কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী। আয়োজক কলকাতার লোকসংস্কৃতি পরিষদ। বহরমপুর শহরের জেলা সাংবাদিক সংঘের সভাকক্ষে এই বর্ণ ময় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন আন্তর্জাতিক আমার ভারত পত্রিকার সম্পাদক ও বাঙালি বিশ্বকোষের সংগঠক বিশিষ্ট কবি আব্দুল করিম। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আব্দুল করিম কাজী নজরুল ইসলামকে বিশ্ব কবি হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর স্বরচিত কবিতায় নজরুলকে নিয়ে যে সাবলীল লেখা হয় এই লেখায় নজরুলকে বিশ্ব কবি হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাকক্ষে আব্দুল করিম এই স্বরচিত কবিতা পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে সকলে হতচকিত হয়ে যান। এইভাবে নজরুলের বর্ণময় জীবনকে নিয়ে কবিতার মধ্য দিয়ে বিশ্লেষণ করা এক দুঃসাহসিক কাজ। অনুষ্ঠানের প্রত্যেক বক্তা এই কবিতা শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ভুয়সী প্রশংসা করেন। নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট কবি ডঃ শর্মিলা মাঝি। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান কবি অরবিন্দ সরকার, চিত্রশিল্পী তরুণ দাস, সমাজকর্মী আব্দুল হাদী, কবি ও গীতিকার আমেদ আলী, কবি মুকুল পাল, স্বর্ণালী মন্ডল, গীতিকার ধ্রুব হালদার, সোয়েদা বেগম, বাচিক শিল্পী মধুমিতা ব্যানার্জি, গোপা কর্মকার, আব্দুর রউফ, সরস্বতী মন্ডল, সান্তনা ধারা রায়, শংকর দাস, মিম মোহাম্মদ আফরিনা খাতুন, নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস, যূথিকা চৌধুরী বাংলাদেশ মেহেরপুর থেকে এসেছিলেন জুবাই কবির। এই অনুষ্ঠানের মূল কর্ণধার বিধান ঘোষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বাঙালি বিশ্বকোষ এ সকলে যুক্ত হয়ে বাঙালি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানান। মুখ্য ব্যবস্থাপক বিধান ঘোষ অনুষ্ঠানের উপস্থিত সকলকে অগ্নিবীণা পদকে সম্মানিত করেন এবং প্রত্যেকের হাতে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি করে ছবি প্রদান করেন। অবক্ষয়ী সমাজ ব্যবস্থায় নজরুলের দর্শন কে আর ও বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান অন্যান্য বক্তারা। অনুষ্ঠানটি সাবলীলভাবে সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট কবি ও শিল্পী পাপড়ি দাস।