ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রাখল মামূন ন্যাশনাল স্কুল|

নিজস্ব সংবাদদাতা : এবারের মাধ্যমিকের ন্যায় উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে মামূন ন্যাশনাল স্কুল। এবারে উচ্চমাধ্যমিকে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী বিলকিস রেহেনা সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৩(৯৪.৬%)। ছাত্রীর বাড়ি মাহাতা, ভাতার, পূর্ব বর্ধমান। তার পিতা সবজি বিক্রেতা। জি.ডি. স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করেছে। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে বীরভূম জেলার রামপুরহাটের দাদপুর গ্রামের নূরজাহান খাতুন| সে ৪৭২ পেয়েছে (৯৪.৪%)। তার পিতা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সেও জি.ডি. স্কলারশিপ নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণি থেকে পড়েছে।

    হাবিবুর রহমান গাজী ৪৬৪ (৯২.৮%)নম্বর পেয়ে বালকদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। সে কোরআনের হাফেজ, ‘হিফজুল কোরআন’ বিভাগের ছাত্র ছিল। সরাসরি নবম শ্রেণিতে সে ভর্তি হয়। এখন সে জি.ডি. অ্যাকাডেমিতে নিটের কোচিং নিচ্ছে। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। এখানে নবম শ্রেণি থেকে জি.ডি. স্কলারশিপে প্রায় ফ্রিতে পড়াশোনা করে আসছে। কোরআনের হাফেজ ছাত্রদের ক্ষেত্রে এই বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়।

    তার বাবা মুজিবর গাজী একজন খারিজী মাদ্রাসার শিক্ষক।

    এবারে মোট ২০৫ জন ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। প্রত্যেকেই সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে।

    ৯০ শতাংশ এবং তার উপরে নম্বর পেয়েছে ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী। ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী ৮৫ শতাংশ এবং তার উপরে নম্বর পেয়েছে। ৮০ শতাংশ এবং তার উপরে নম্বর পেয়েছে ৮৮ জন। ১৪১ জন ছাত্র-ছাত্রী ৭৫ শতাংশ (ষ্টার মার্কস) এবং তার বেশি নম্বর পেয়ে বিদ্যালয়ের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেছে।

    বিদ্যালয়ের সার্বিক এই সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখে। কৃতি ছাত্র-ছাত্রী ও সম্মানিত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদ্যালয়ে চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও দানবীর মোস্তাক হোসেন সাহেব।

    প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইয়াসীনও সফল ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ও মামূন পরিবারের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

    বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ তথা ‘বক্তা সম্রাট’ মরহুম গোলাম আহমাদ মোর্তজা সাহেব ছিলেন এই বিদ্যালয়গুলির প্রতিষ্ঠাতা। এখানে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের শাখা রয়েছে। এই শাখা গুলিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রায় ১৩০০ অধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে।