করিমপুর,কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর বিজেপি মুক্তের জবাব দিল আম জনতা:মমতা

নতুন গতি প্রতিবেদক, কলকাতা, ২৮ নভেম্বরঃ করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর তিন কেন্দ্রেই বিধানসভা উপনির্বাচনে হাসিল করল তৃনমুল।
দলের এই সাফল্যকে মানুষের জয় বলে উল্লেখ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সাফল্যের খবর আসার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই জয় মানুষের জয়। মা-মাটি-মানুষের জয়। আমরা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। এর আগে আমরা কখনও কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুরে জিততে পারিনি। তাই খড়্গপুর ও কালিয়াগঞ্জের এই জয় আমাদের কাছে নৈতিক জয়। এই জয় হল বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, একতা, ঐক্যের জয়। বাংলার মানুষের পক্ষে বড় রায়।’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্লোগান তোলেন, ‘এক, দুই তিন বিজেপিকে বিদায় নিন।’
বৃহস্পতিবার তিন আসনের তিনটিতেই জয় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপির জনবিরোধী নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সব দিক থেকেই ব্যর্থ। এনআরসি আতঙ্কে ভুগছে মানুষ। নাগরিকদের দেশ ছাড়া করার পরিকল্পনা করার নিয়েছে বিজেপি। সেই পরিকল্পনার যোগ্য জবাব দিয়েছে তিন কেন্দ্রের মানুষ। লোকসভা নির্বাচনে প্রাইভেট অপারেটরদের দিয়ে ইভিএমের কাজ করানো হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদি সরকার সমস্ত ক্ষেত্রে এ রাজ্য তো বটেই গোটা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করছে। বিজেপি সরকারের নীতির ফলেই দেশে বেকারত্ব বেড়েছে। ব্যাঙ্কে টাকা থাকলেও তা হাতে পাচ্ছে না মানুষ। দিন দিন কমেছে সুদের হার। একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। সর্বত্রই একটা নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি সরকার। এই দল শুধু বিভাজনের রাজনীতি করে। যখন তখন যে কোনও রাজ্যে যা খুশি করছে। ওদের এই ঔদ্ধত্য, অহংকারকে বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। তাই সবাই আমাদের ভোট দিয়েছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে তিনি হিন্দু, মুসলিম বা আদিবাসী যে সম্প্রদায়েরই হোন না কেন, তৃণমূলকে তাঁদের প্রয়োজন। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই পারবে সর্বধর্ম সমন্বয় করতে। অবাঙালিরাও বাংলায় ভালো আছেন। তাঁরাও শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সুবিধা পাচ্ছেন। তাই বিজেপিকে নয়, সবাই আমাদের ভোট দিয়েছে। উপনির্বাচন হলেও এই জয় গুরুত্বপূর্ণ।’