জল ট্যাঙ্কি নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিনিধি, অরঙ্গাবাদ : কেন্দ্রীয় সরকারের জল প্রকল্পের জল ট্যাঙ্কি নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামে। শুধু কাজ বন্ধই নয়, জল জীবন প্রকল্পের ট্যাঙ্ক করতে আসা কর্মচারীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়েই মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এক জায়গার কাজ রাতারাতি ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার টাকা খেয়ে গঙ্গার ১০০ মিটারের মধ্যে করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে সেই কাজ বন্ধ করতে সামসেরগঞ্জের বিডিওকে লিখিত অভিযোগ করেছেন নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আলীয়ারা খাতুন। বিষয়টি নিয়ে খব প্রকাশ করেছেন প্রধানের স্বামী সামিউল হক।

    স্থানীয় বাসিন্দা ও নিমতিতার বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের অভিযোগ, এলাকার মানুষের সুবিধার্থে সামশেরগঞ্জের নিমতিতার দুর্গাপুরে কেন্দ্র সরকারের জলজীবন মিশনের প্রজেক্ট এর এই কাজ হিসাবে জল ট্যাংকি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেই বাধা দিচ্ছেন প্রধানসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। জল ট্যাংকে নির্মাণের সুপারভাইজারের অভিযোগ, উপপ্রধানের নেতৃত্বে তাদের শ্রমিকদের লাঠি উচিয়ে মারতে এসেছিলেন বেশ কিছু লোকজন। আর তা নিয়েই কার্যত বিষয়টি হৈচৈ সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপির মন্ডল সভাপতি ষষ্ঠী চরন মন্ডল। তিনিও তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার প্রধানের প্রতিনিধি সামিউল হক জানান, এই প্রজেক্টটি নিমতিতা অঞ্চলের শেরপুর মৌজায় ছিল। কিন্তু রাতারাতি শেরপুর মৌজা থেকে সড়িয়ে ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার বিনয় পাত্র টাকা খেয়ে দুর্গাপুর গ্রামে নিয়ে গেছে। কিন্তু যেখানে এই জল ট্যাংকি নির্মাণ করা হচ্ছে সেখান থেকে গঙ্গার দূরত্ব মাত্র ১০০ থেকে দেড়শ মিটার। তাতেই আমরা আপত্তি জানিয়ে বিডিও সাহেবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। মারধর বা হুমকির বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন নিমতিতা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অলোক দাস।