কেশপুরে তৃণমূল কংগ্রেস নবনিযুক্ত ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি

সেখ মোহাম্মদ ইমরান, নতুন গতি,মেদিনীপুর:-
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে বদল আনলেন জেলা নেতৃত্ব। শুক্রবার দুপুর 2 টার সময় মেদিনীপুর ফেডারেশনের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানকে সরিয়ে ব্লকের কার্যকরী সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠিকে ব্লক সভাপতি করা হল।

সেই সঙ্গে সঞ্জয় পানকে জেলার সাধারন সম্পাদক পদে স্থলাভিষিক্ত করা হল। এক প্রশ্নের জবাবে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সঞ্জয় পান ব্লক সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চাইছিলেন,আজ তাঁর দাবিকে মান্যতা দিয়ে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। আজ থেকে উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি ব্লক সভাপতির পদ সামলাবে। রাজনৈতিক মহলের শোনা যায়, নবনিযুক্ত ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহার অনুগামী। যদিও সর্বোচ্চ নেতৃত্ব উক্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই কেশপুর তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে জর্জরিত ছিলো। বিভিন্ন সময় ব্লক সভাপতির পদ পরিবর্তন করে গোষ্ঠীদ্বন্দ মেটানোর চেষ্টা করেছেন জেলা নেতৃত্ব। এদিকে লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির পালে হাওয়া লাগতে থাকে। তারপর থেকেই সঞ্জয় পানের বিরোধী পক্ষ থেকে সঞ্জয় পানকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারনের দাবি উঠলেও জেলা নেতৃত্ব সেই দাবি কানে তোলেনি। শেষ পর্যন্ত বিধায়ক শিউলি সাহার অনুগামী ব্লকের কার্যকরী সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠিকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে তাদের দাবিকে মান্যতা দেয়। কেশপুরের বিজেপি প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বলেন, কেশপুরে বিজেপি ফিউজ হয়ে গেছে। একটা হাওয়াই ভেসে কিছু লোক বিজেপি দলে গেলেও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের উন্নয়নে অনুপ্রাণিত হয়ে আবার দলে ফিরে এসেছে। এখন কেশপুরে বিজেপি বলে আর কিছু নেই।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা , জেলার সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ রফিক,নবনিযুক্ত ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।এদিন কেশপুর কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত ব্লক সভাপতিকে সম্বর্ধনাও দেওয়া হয়।