পঞ্চনন্দপুরে ভাঙল সিপিএম এর শ্রমিক সংগঠন , যোগদান তৃণমূলের সংগঠনে

নাজমুস সাহাদাত ,  মোথাবাড়ি :  আজ কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির উদ্যোগে পঞ্চনন্দপুর অঞ্চলের পাগলাঘাট বাজার সহ সমস্ত ড্রাইভার ও হেলপার শ্রমিক , CITU বামপন্ত্রী সংগঠন ছেড়ে তারা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে যোগদান করলো ।   উক্ত যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল ,  কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহ সহ সকল নেতৃত্ব বৃন্দ ।

    ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন ,  আমাদের INTTUC-র জেলা নেতৃত্ব ও ব্লক নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে এই যোগদান কর্মসূচী ।  এই পঞ্চনন্দপুর এর ৪০ বছর পুরোনো এই ঘাট এই বাস স্ট্যান্ড থেকে মালদা রথবাড়ির যোগাযোগ স্থান রয়েছে। অনেক ট্যাক্সি ম্যাক্সি সহ বাস চলাচল করে এই রুটে । এবং পার্শ্ববর্তী গঙ্গার ওপার ঝাড়খন্ড থেকে নদী পার হয়ে অনেক অসুস্থ রোগীরা আসেন চিকিৎসার জন্য।   এই বাস স্ট্যান্ড থেকেই তারা মালদায় চিকিৎসা করাতে যান ।  তবে এখানে CITU বামপন্থী সংগঠন ছিল তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে যোগদান করলেন ।

    বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন ছেড়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে যারা যোগদান করে তাদের বক্তব্য ,  আমাদের কোনো অসুবিধায় পড়লে পাশে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন এর পক্ষ থেকে কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি বা কোনো সুযোগ-সুবিধা হচ্ছে না বলেই আমরা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে যোগদান করলাম ।   আগামী দিন আমরা স্থানীয় বিধায়ক মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন এর ওপর আস্থা রেখে এগিয়ে যাব ।

    মালদা জেলা শ্রমিক সংগঠন এর সভাপতি শুভদীপ সান্যাল জানান ,  আমাদের আজকে মালদা জেলার কালিয়াচক ২ নং ব্লকের দুটি অঞ্চল রথবাড়ি ও পঞ্চনন্দপুর পাগলা ঘাট যেখানে বিশেষ করে ম্যাক্সি ইউনিয়ন দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পাগলা ঘাট বহু পুরাতন ঐতিহ্যশালী বাস স্ট্যান্ড ।   এবং এই জায়গাটা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেখানে একদিকে মালদা শহর ও অপরদিকে নদী পার করে ওপারে ঝাড়খণ্ড।  এখান থেকে দুই রাজ্যের সংযোস্থল হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ পাগলা ঘাট স্ট্যান্ড ।  এখানে প্রায় ৩৬ টা ম্যাক্সি ও অনেকগুলো বাস দীর্ঘদিন ধরে মালদা রুটে তারা চলাচল করে ।  এখানকার শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন এর সাথে তারা যুক্ত ছিলেন তাদের আপদ বিপদে তাদের সাহায্য বা সঠিক পরামর্শ দেয়নি । তারা হতাশ হয়ে আমাদের স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এর সাথে যোগাযোগ করেন এবং INTTUC-র ব্লক নেতৃত্ব ফারুক আব্দুল্লাহর সাথে আলোচনা করার পরে তারা মনোস্থির করে আমাদের সাথে সংগঠনে যোগদান করেন ।