কবি নজরুলের জন্মদিন উপলক্ষে সৌহার্দ্য উদ্যোগে দুস্থদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

সংবাদদাতা মোথাবাড়ি : একটু অন্য আঙ্গিকে নজরুল জন্মজয়ন্তী পালন করল ‘‌সৌহার্দ্য’‌। ফি বছর তারা একটু আলাদা ধরণের অনুষ্ঠান করে থাকে। এবার লকডাউনের কারণে অসহায় মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াল তাঁরা। নিপীড়িত মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে চিরকাল ধর্ম-বর্ণের উপরে স্থান দিয়েছেন যিনি, সেই চিরবিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের ১২১তম জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে অন্য ভাবে পালন করল মালদার এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কবি নজরুলের আদর্শকে মান্যতা দিয়ে তাঁরই আদর্শে কালিয়াচক -১ নম্বর ব্লকের যদুপুর কায়স্থ এলাকার দুর্গা মন্দিরে প্রায় ৫০ জন দুঃস্থ পরিবারের মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এদিন হাজির ছিলেন সংস্থার সম্পাদক কুন্তল দাস , প্রনতি মন্ডল, গৌড় কলেজের অধ্যাপক ঋষি ঘোষ, মালদা কলেজের অধ্যাপিকা শম্পা চক্রবর্তী, সমাজকর্মী অসীম কর্মকার , সিদ্ধার্থ সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নজরুলের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে সংস্থার সম্পাদক কুন্তল দাস বলেন , নজরুল ইসলাম এর জন্মদিন উপলক্ষে লকডাউনের সময় খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পেরে খুশি , আগামীতে অব্যাহত থাকবে এই ধরনের খাদ্য সামগ্রী প্রদানের কাজ । গৌড় কলেজের অধ্যাপক ঋষি ঘোষ জানান, “কবিতা আর দেবতা সুন্দরের প্রকাশ। তবু বলি-আমি শুধু সেই সুন্দরের হাতের বীণা আর পায়ের পদ্মফুলই দেখিনি, তার চোখে চোখভরা জলও দেখেছি। শ্মশানের পথে, গোরস্থানের পথে তাকে ক্ষুধাদীর্ণ মূর্তিতে ব্যথিত পায়ে চলে যেতে দেখেছি…নজরুলের এই ঐতিহাসিক শেষ ভাষণে নিপীড়িত মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে চিরকাল ধর্ম-বর্ণের উপরে স্থান দিয়েছেন।’‌ আয়োজকদের পক্ষ থেকে অসীম কর্মকার ও সিদ্ধার্থ সাহা রা জানান, ‘‌এলাকায় সার্ভে করে অসহায় ও দুস্থ এছাড়া ও রেশনকার্ডহীন পরিবারগুলির হাতেই ত্রাণ তুলে দেওয়া হলো খাদ্য সামগ্রী । এবার আমরা অন্যভাবে বিদ্রোহী কবিকে স্মরণ করলাম।