কবিতীর্থ চুরুলিয়ায় অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক মৈত্রী উঠোন।

লুতুব আলি : দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন, কবি তীর্থ চুরুলিয়ার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মৈত্রী উঠোন শীর্ষক সেমিনারে দুই বাংলার সমন্বয় ঘটলো। অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত ও সম্ভাষণ জানান দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার তথা কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সোনালী কাজী। পৌরহিত্য করেন কাজী নজরুল ইসলামের ভাতুষ্পুত্র কাজী রেজাউল করিম। কাজী নজরুল ইসলাম চেয়েছিলেন মৈত্রীর মেলবন্ধনে অসাম্য দূরীভূত হয়ে সাম্যের প্রতিষ্ঠা পাক। ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৫ বছর পর ও দুটি কুসুম একই বৃন্তে ধারণ করতে অসাম্যের ভারে বিচ্যুতি ঘটতে থাকায় কবির উত্তরসূরি সোনালী কাজীর নেতৃত্বে দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন নজরুলের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুণীজনেরা স্বীকার করেন। চুরুলিয়ার নজরুল একাডেমীর শহর গ্রন্থাগারে দুই বাংলার বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সেমিনারে কাজী নজরুল ইসলামের জীবন, দর্শন, দেশপ্রেম নিয়ে আলোচনা হয়। এই সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট কবি আব্দুল গনি ও কবি আসলাম গনি। ত্রিপুরা থেকে এসেছিলেন ড. দেবব্রত দেব রায়, সর্মিনা রায়, কলকাতা থেকে শব্দ শ্রমিক নামে খ্যাত বিশিষ্ট কবি আব্দুল কায়ুম, বিশিষ্ট কবি বিধান পুরকাইত প্রমুখ। সোনালী কাজী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নজরুল ইসলামের দর্শন কে নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে চুরুলিয়ায় যে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে তা আক্ষরিক অর্থে সফল হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুবর্ণ কাজী। সেমিনারের শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পাঞ্চলের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী প্রলয় ভট্টাচার্য, সুমন ব্যানার্জি, পার্থ চক্রবর্তী, রাখি মন্ডল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিক শিল্পী গৌতম কারক, প্রদীপ কুমার দে, সোমা ভট্টাচার্য, সোমা বিশ্বাস, জ্যোতির্ময়ী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে নৃত্যানুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী অনুরাধা মুখার্জী। উল্লেখ্য, শিয়ার সো ল রাজ হাইস্কুল, কাজী নজরুল ইসলামের বাস্তুভিটা ও ভট্টাচার্য জোড়াকালি স্থান হেরিটেজ ঘোষণা হওয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে কাজী নজরুল ইসলামের ভ্রাতুষ্পুত্র কাজী রেজাউল করিম সাহেবকে খুশি হয়ে মিষ্টি মুখ করান। সমগ্র অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ড. কোহিনুর কাজী। অনুষ্ঠানের সহযোগিতা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রবিশঙ্কর চৌবে।