|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি : আসাম এনআরসি এরই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হল গত ৩১ আগস্ট। ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ রাষ্ট্রহীনতার বিপদের সম্মুখীন। চরম অনিশ্চয়তা, সীমাহীন দুর্ভোগ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইতিমধ্যেই ‘ডিটেনশন’ ক্যাম্পে বহু মানুষ দিন কাটাচ্ছেন। এনআরসি এর চূড়ান্ত তালিকার বাইরে চলে যাওয়া প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে এবার দৌড়তে হবে ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে’ নাগরিকত্বের প্রমাণ হাতে নিয়ে।অন্যথায় তাঁদেরও চলে যেতে হবে ঐ ডিটেনশন ক্যাম্পে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আবাল বৃদ্ধ বনিতার স্থান হবে ওখানে। আমাদের পার্টি সহ বিভিন্ন মানবাধিকার ও অধিকার রক্ষা সংগঠনের কর্মীরা এই বিপন্ন মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদের সমস্ত ক্ষমতা, সম্পদ ও সহযোগিতা নিয়ে। সিপিআই(এম এল ) লিবারেশন তাঁদের অভিনন্দন জানায়।
সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের যে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র নিয়ে বিজেপি, আর এস এস ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এন আর সির উদ্যোগ নিয়েছে তার পরবর্তী ল্যাবরেটরি পশ্চিমবাংলা। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আর এস এস প্রধান মোহন ভাগবৎ থেকে এরাজ্যের বিজেপি-আর এস এস নেতারা উচ্চস্বরে পশ্চিমবাংলায় এন আর সির হয়ে ওকালতি করছেন।আরো লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও অস্তিত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে নেমেছেন ওরা।রাজ্যজুড়ে এক সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করে এবাংলায় ক্ষমতা দখল ওদের আশু উদ্দেশ্য। এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আপামর জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। যেকোন মূল্যে পশ্চিমবাংলায় এন আর সি কে রুখতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে সিপিআই (এম এল) লিবারেশন সীমান্তবর্তী জেলাগুলি সহ রাজ্যজুড়ে এন আর সির বিরুদ্ধে প্রচারাভিযানে নেমেছে। রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আবেদন জানাচ্ছে।
পার্থ ঘোষ, রাজ্য সম্পাদক, সিপিআই (এম এল) লিবারেশন জানান,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের কাছে আমাদের দাবি, ১) পশ্চিমবাংলায় এন আর সির বিরুদ্ধে বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব গ্রহণ করা হোক। ২) সমাজ
জীবনে ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিজেপির ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকে উৎঘাটিত করতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হোক।